ইডির পর এবার অমিত শাহের পুলিশ। বড় বিপাকে কেজরিওয়াল। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ-এর আধিকারিকরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছেছে। তবে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। সূত্র অনুসারে, সম্প্রতি অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন যে বিজেপি দিল্লিতে অপারেশন লোটাস-২ চালানোর চেষ্টা করছে এবং ৭ জন আপ বিধায়ককে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে দিল্লি সরকারের ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই অভিযোগের তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চকে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, এসিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছেছেন এবং তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ব্যক্তিগতভাবে নোটিস দিতে হাজির হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল নিজে নোটিস না পাওয়া পর্যন্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল সিএম হাউসে উপস্থিত থাকবেন।
প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কেজরিওয়ালের তোলা অভিযোগ নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেছেন, "কী এমন হল যে দিল্লি পুলিশকে কেজরিওয়ালের বাড়িতে যেতে হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের মানুষ ও পুলিশকে তার প্রমাণ দিতে হবে। কেজরিওয়াল মদ কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচাতে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন"।
কেজরিওয়ালের অভিযোগের বিষয়ে দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেছেন যে এটা দেখায় রাজনৈতিকভাবে কেজরিওয়াল কতটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। গতকালও ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল সিএম কেজরিওয়ালের বাসভবনে হাজির হয়। দিল্লি পুলিশের নোটিসে কেজরিওয়ালকে তার তরফে তোলা অভিযোগের প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে, কেজরিওয়াল একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছিলেন যে তাঁর দলের সাতজন বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি যোগাযোগ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি।
পুলিশ এমন এক সময়ে কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছেছে যখন তিনি মদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রাডারে রয়েছেন। কেজরিওয়াল এজেন্সির পাঠানো পাঁচটি সমনকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন। দলের তরফে ক্রমাগত বলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে তাকে গ্রেফতার করতে চায়। একই সময়ে, আপ এবং বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্বের আরেকটি বিষয় হল চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন। মেয়র নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে শুক্রবার রাজধানীতে আপ বিক্ষোভ দেখালেও বিজেপিও 'দুর্নীতি; ইস্যুতে কেজরিওয়াল সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।