পদ্ম শিবিরের দুই বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সাক্ষাতের পর ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। সুনীল সিংয়ের সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের খবর। যদিও তাও মানতে নারাজ অর্জুন। এদিকে কয়েক দিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
মমতা-সুনীল সিং সাক্ষাতের পর অর্জুন সিংয়ের বক্তব্যে নোয়াপাড়ার বিধায়কের তৃণমূল-যোগের ইঙ্গিত মিলেছে। অর্জুন সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "ওখানে আমার ছেলেও আছে। ও কী গিয়েছিল? ছেলেতো বিধায়ক। ও তো যায়নি।" রাজনৈতিক মহলে চর্চা রয়েছে নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়। স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুনীল সিংয়ের এদিনের সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অর্জুন বলেন, "রিলেটিভ কে কার হয়। ওসব ফালতু কথা। এখন বলব না। ও জয়েন করুক তারপর বলব।" অর্জুন সিংয়ের বক্তব্যে সুনীলের তৃণমূল যোগের ইঙ্গিত অনেকটা স্পষ্ট বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল।
এর আগে মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এবার কী সেই পথেই নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং? ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে গিয়ে ঘরে ফিরেছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, কলকাতা লাগোয়া এই জেলা নিয়ে রীতিমতো চাপে রয়েছে বিজেপি। এখানে মতুয়ারা নাগরিকত্ব নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। মতুয়াদের জন্য অমিত শাহর সভা করার কথা রয়েছে। এই জেলার তাঁর সভার আয়োজন করেও পিছিয়ে গিয়েছে বিশেষ কারণে। এবার আবার ঘরওয়াপসির পালা শুরু হয়েছে।
১৬ তম বিধানসভার এদিনই ছিল শেষ দিন। প্রায় সব বিধায়কই বিধানসভায় হাজির ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। নির্বাচন ঘোষণার পর রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতাও প্রায় থাকবে না। তারই মধ্যে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা এই দুই বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে জল্পনা হওয়াই স্বাভাবিক। তারওপর সুনীল সিং অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় বলেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়ায় সুনীলের তৃণমূল যোগের ইঙ্গিত রয়েছে যথেষ্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন