১৪ বছর পর রাজধানী দিল্লিতে এসে আচমকা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে! কংগ্রেস নেতৃত্ব তো বটেই, এমএনএসের কোনও নেতাও রাজ ও সনিয়ার বৈঠকের বিষয়টি জানতেন না। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী এনসিপি-র নেতারাও এই প্রসঙ্গে কোনও আগাম খবর পান নি।
এমএনএসের মুখপাত্র সন্দীপ দেশপাণ্ডে বলেন, "এই বৈঠকের বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা ছিল না। আচমকা এই বৈঠকের খবরে আমরা কিছুটা বিস্মিত।"
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন পর রাজ দিল্লিতে এসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবি জানাতে। এমএনএস নেতার দাবি, মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিতর্ক এড়াতে ভোট হোক ব্যালটে। কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, সে বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। কিন্তু ইউপিএ চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কিছু বলতে রাজি হন নি।
আরও পড়ুন: ইস্তফা গ্রহণের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা
এমএনএস নেতা সন্দীপের কথায়, "সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে রাজ ঠাকরের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বা অন্য কোনও বিষয়ে কী কথা হয়েছে, তা এখনও আমাদের জানানো হয় নি।" অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট বলেন, "এই বৈঠকের খবর আমরা সংবাদমাধ্যমের থেকেই পেয়েছি।"
ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল রাজ-সনিয়ার বৈঠকের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অভয় দেশপাণ্ডের কথায়, "হয় শরদ পাওয়ার, নাহয় আহমেদ প্যাটেল, দুজনের কেউ একজন দুই নেতাকে একসঙ্গে বসানোতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। কিছুদিন আগে আহমেদ প্যাটেল রাজের ছেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।" এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক অবশ্য জানান, তাঁরাও এই বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানতেন না।
রাজ-সনিয়ার বৈঠক এবং মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে এমএনএস। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিক সভায় মোদী-শাহ জুটিকে আক্রমণ করেছেন রাজ। এনসিপি মুখপাত্র জানান, যদি এমএনএস বিরোধী জোটে শামিল হয়, তাঁরা স্বাগত জানাবেন। কংগ্রেস নেতা সুশীলকুমার শিন্ডে এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হন নি।