গণ পিটুনির মত ঘটনায় যারা মদত দেবে তাদের আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে, এই মর্মে প্রচার করার জন্য নির্দেশিকা জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বরাষ্ট্র দফতরকে এ সম্পর্কিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
গণপ্রহারের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, এই মর্মে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক খুব দ্রুত রেডিও এবং টিভিতে প্রচার শুরু করবে।
আরও পড়ুন, রক্ষকই ভক্ষক, মুসলিম যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক কেন, প্রশ্ন তুলে তরুণীকে মার পুলিশের
গত এক বছরে দেশের মোট ৯টি রাজ্য থেকে মোট ৩৪ টি গণপ্রহারের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরে, যেখানে ২৬ বছরের ফারুক খানকে গাড়ি চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারে জনতা।
এ ব্যাপারে সোমবারের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ঢাল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, গণপিটুনির মত ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। শীর্ষ আদালত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, যে কোনও গণহিংসা যে কঠোর শাস্তিমূলক অপরাধ এ নিয়ে রেডিও, টিভি এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। একই সঙ্গে তা প্রকাশ করতে হবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এবং পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।
একই সঙ্গে আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১৭ জুলাইয়ের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মাথায় রেখে রিপোর্ট ফাইল করার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ করে রাজ্যগুলিকে আগাম প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল।
এ ব্যাপারে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী এখনও কোনও আইনি ধাঁচা গড়ে তুলতে পারেনি, তার আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। রাজনাথ সিং সংসদে বলেছিলেন, প্রয়োজনে গণহিংসার ঘটনা ঠেকাতে আইন বলবৎ করা হবে।