পাঞ্জাবে গো-হারা হেরেছে কংগ্রেস। পরাজিত হয়েছেন হাতের অন্যতম নেতৃত্ব তথা মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। একটি নয়, এবার চমকৌর সাহেব এবং ভাদৌর, দু’টি আসন থেকে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। কিন্তু, দু'টিতেই পরাজিত হয়েছেন। আর ভাদৌর কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে রাতারাতি সুপার-স্টার মোবাইল মেকান লাভ সিং উগো।
ভাদৌরে প্রায় ৫৭ হাজার ভোট পেয়েছেন আপ প্রার্থী লাভ সিং উগো, কংগ্রেসের চান্নি পেয়েছেন ২৩ প্রায় হাজার ভোট। নির্বচানের ময়দানে প্রায় ২৪ হাজার ভোটে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে তাক লাগিয়েছেন
লাভ সিং।
জায়েন্ট কিলার প্রার্থীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, 'ভাদৌর থেকে যে লাভ সিং চরণজিৎ সিং চান্নি জিকে পরাজিত করেছেন তিনি একটি মোবাইল মেকানিক, একটি দোকানে চালান। একজন সাধারণ কর্মী জীবনজ্যোত কৌর সিধুজি এবং মাজিথিয়া দু’জনকেই পরাজিত করেছেন…আমরা ৭৫ বছর নষ্ট করেছি, আর সময় নষ্ট সম্ভব নয়।'
২০১৩ সাল থেকেই পাঞ্জাবে আপের কর্মী বারনালা জেলার উগো-র বাসিন্দা লাভ সিং। সাইলের মিস্ত্রির পুত্র লাভ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন। এরপরই মোবাইল মেরামতির কাজে হাত দেন। পরে ৩৫ বছরের লাভ সিং একটি দোকানও খোলেন।
ভাদৌরে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী চান্নি-কে কংগ্রেস প্রার্থী করায় শুরু থেকেই উত্তেজিত ছিলেন লাভ সিং। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, 'আমি জিতব, কারণ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অন্য বিধানসভা কেন্দ্র চমকৌর সাহেবে কিছুই করেননি। তাই জেতের ব্যাপারেও আশাবাদী নন। ফলে এই কেন্দ্রে এসেছেন হালে পানি পেতে। মানুষ ওনাকে মেনে নেবে না।' বাস্তবেই তাই হল।
মোবাইল মরামতির দোকান চালিয়েও আপের সর্বক্ষণের কর্মী এই লাভ সিং। ভোটে দল ও নিজে জিততে আগাগোড়া পরিশ্রম করেছেন। নীচু তলার কর্মী নেতা থেকে বর্তমানে পার্টি সংগঠনের সার্কেলের দায়িত্বে সে। মনোনয়নপত্রে লাভ জানিয়েছেন যে, স্থাবর সম্পত্তি বলতে একটি মটরসাইকেল রয়েছে তাঁর।
ধৌলা থেকে ২০১৭ সালেই লাভের নাম প্রার্থী হিসাবে বিচিত হয়েছিল। কিন্তু, সেবার হয়নি, এবার প্রথমবার প্রার্থী হয়েই এলো জয়, তাও আবার মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে। দলীয় নেতৃত্ব, কর্মী থেকে পাড়া প্রতিবেশী-লভের কৃতীত্বে খুশি সকলে। পাঞ্জাব রাজনীতিতে এখ অন্যতম চর্চার নাম লাভ সিং।
Read in English