ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ থেকে বেকারত্ব, কোনও বিষয়েই ব্যাখ্যা দেয় না কেন্দ্রের মোদী সরকার। প্রায়শই এই অভইযোগ করে থাকেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। যা খণ্ডন করে পাল্টা কংগ্রসের 'যুবরাজ'কে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এই এক ব্যক্তি যিনি শুনতেও চান না, অবার সংসদকেও এড়িয়ে যান।'
রাহুলের অভিযোগ প্রসঙ্গে মোদীর জবাব, 'যেসব প্রশ্ন এ পর্যন্ত বিরোধী দল করেছে সেগুলির উত্তর সশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীরা দিয়েছেন। আমিও বেশ কয়েকবার বক্তব্য পেশ করেছি সংসদে।'
বিরোধীদের অভিযোগ, কোনও বিষয়ের উপর সংসদে বিতর্কের দাবি জানালেও তা হয় না। কারণ প্রধানমন্ত্রী ও বেজি চায় না। যার উত্তরে, প্রধানমন্ত্রীর দাবি, 'আমি আক্রমণাত্মক ভাষা জানি না। আর সেটা আমার চরিত্রও নয়। কিন্তু যুক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে, মিডিয়া কিছু বিতর্ক সৃষ্টি করতে হাউসে আমার কথার অনেকরকম ব্যাখ্যা করতে পারে।'
চলতি অধিবেশনে রাহুল গান্ধী বেশ কিছু প্রশ্ন সরকার পক্ষকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, জবাবী ভাষণে সেসব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে নমো বলেন, 'আমরা কাউকে আক্রমণ করি না, বরং আমরা সংলাপে বিশ্বাস করি। মাঝে মাঝে সংসদে বিতর্ক এবং বাধা (টোকা-টাকি) দেওয়া হয়। আমি এটাকে স্বাগত জানাই এবং সে কারণেই (এই বিষয়ে) আমার বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।'
আরও পড়ুন- বিতর্কিত কৃষি আইনের হয়ে গলা ফাটিয়ে ধন্দ তৈরি করলেন মোদী
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'আমি প্রতিটি বিষয়ে তথ্য দিয়েছি এবং সকল বিষয়ে তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলেছি। কিছু বিষয়ে, আমাদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিস্তারিত উত্তর দিয়েছে এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমি কথা বলেছি। যে লোক শোনে না এবং অধিবেশনে বসতে পারেন না, তাকে আমি কীভাবে জবাব দেব?'
এর আগে, রাহুল গান্ধী সংসদে তার বক্তৃতার সময় কংগ্রেসকে মোদীর আক্রমণ সম্পর্কে জানান যে, 'বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কংগ্রেসকে ভয় পায়।'
৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর লোকসভায় বিতর্কের জবাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে, কংগ্রেসের নীতি হল "বিভক্ত করুন এবং শাসন করুন" এবং দেশের সবচেয়ে প্রচীন দল 'টুকরে টুকরে গ্যাং'য়ের নেতা হয়ে উঠেছে।
Read in English