'ইউপিএ জমানা দেশের সবচেয়ে দুর্নীতির সময়কাল, ইডি বিরোধীদের একমঞ্চে এনেছে,' কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর: modi criticised UPA period | Indian Express Bangla

‘ইউপিএ জমানা দেশের সবচেয়ে দুর্নীতির সময়কাল, ইডি বিরোধীদের একমঞ্চে এনেছে,’ কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

‘গতকাল ভাষণ দিয়ে তারিফ পাওয়ায় ভালো ঘুম হয়েছে, তাই আজ উঠতে পারেননি’, রাহুলকে কটাক্ষ মোদীর

Modi
সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীরা তাঁর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। জবাবী ভাষণে এবার বিরোধী ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের শাসনকালকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সংসদে তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভারতে দুর্নীতির সবচেয়ে অন্ধকার সময় হল ইউপিএ সরকারের ১০ বছর। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে গোটা দেশে জঙ্গি হামলা সবচেয়ে বেড়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে সর্বত্র হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল।’

নাম না-করে কার্যত সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে একহাত নিয়ে মোদী বলেন, ‘ওই ১০ বছরের জমানায় ভারতে কণ্ঠস্বর এতই ক্ষীণ ছিল যে, বাকি বিশ্ব তা শুনতে চাইত না। ইউপিএ সরকার দেশের প্রতিটি সুযোগকে সমস্যায় পরিণত করেছিল।’ এরপরই তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের তারিফ করে মোদী বলেন, ‘বর্তমানে দেশ শক্তিশালী হয়েছে। ১৪০ কোটি দেশবাসীর সামর্থ্য সামনে আসছে।’

মঙ্গলবার সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি তিনি লোকসভায় দেখিয়েছিলেন। উভয়ের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মোদীর বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়াই রাহুল গান্ধী একের পর এক অভিযোগ করেছেন। পালটা এই অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছে বিজেপি। বুধবার তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বুঝিয়ে দিলেন তিনি রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে মোটেও খোলামনে নেননি। আর, সেকথা মাথায় রেখে নানাভাবে আক্রমণও করলেন এই কংগ্রেস সাংসদকে।

নাম না-করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বুধবার মোদী বলেন, ‘কিছু মানুষের ভাষণের পর সমর্থকরা লাফাচ্ছিলেন। আনন্দে কিছু লোক বলেছেন, ভালো বলেছেন। এই বলার পরে তাঁর হয়তো দারুণ ঘুমও হয়েছে। তাই আজ উঠতেই পারেননি (সংসদে আসতেই পারেননি)।’ পাশাপাশি, নাম না-করে রাহুল গান্ধীই কংগ্রেসকে ডুবিয়ে দিয়েছেন বলেও কটাক্ষ শোনা যায় মোদীর মুখে। কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধীর চৌধুরীকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন যে, কংগ্রেসের এক নেতা দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। যা থেকে বোঝা যায় যে আদিবাসীদের প্রতি তাঁদের কত শ্রদ্ধা! পরে, অবশ্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধীদেরও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন যে ভোটে হারলেই বিরোধীরা শুধু বলে ইভিএম খারাপ। কমিশনকে গালাগালি দেয়। রায় পছন্দ না-হলে সুপ্রিম কোর্টকে গালি দেয়। আর, দুর্নীতির তদন্ত করলে এজেন্সিকে গালি দেয়। সেনা তার কাজ করলে সেনাকে কটূ কথা বলে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি করলে, রিজার্ভ ব্যাংকে গালাগালি করে। গঠনমূলক সমালোচনার বদলে শুধুই অভিযোগ। বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, ভোটের ফলে সব বিরোধীরা একমঞ্চে আসবে। কিন্তু, দেখলাম যে ইডিই তাদের একমঞ্চে নিয়ে এল। ভোটদাতারা যে কাজ করে দেখাতে পারল না, এজেন্সি সেই কাজ করে দেখাল।’

আরও পড়ুন- রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, তাতে লাভটা কী?

বিরোধীদের তাঁর ওপর ভরসা থাকুক ছাই না-থাকুক, দেশবাসীর তাঁর ওপর ভরসা রয়েছে বলেই বক্তব্যে বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মোদীর ওপর দেশবাসীর ভরসা বিরোধীদের বোঝার বাইরে। বিনামূল্যে রেশন পাওয়া মানুষগুলো কীভাবে মিথ্যে অভিযোগ তোলা ব্যক্তিদের বিশ্বাস করবে? যে কৃষকের অ্যাকাউন্টে বছরে তিনবার পিএম কিষাণের টাকা জমা পড়ে, তাঁরা কীভাবে মিথ্যে অভিযোগকে বিশ্বাস করবে? যে ১১ কোটি মহিলা শৌচালয় পেয়েছেন, তাঁরা কীভাবে মিথ্যে মেনে নেবে?’

Read full story in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Modi criticised upa period

Next Story
‘বিজেপি সংসদীয় শিষ্টাচার শেখাচ্ছে!’, ‘হাস্যকর’ বলে কড়া জবাব দিলেন মহুয়া