সংসদে হাজারো কথা বলেছেন। বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন। রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু, আদানি নিয়ে টুঁ-উ শব্দটি করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে যারপরনাই বিস্মিত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর জবাবী ভাষণকে খারিজ করে রাহুলের অভিযোগ, মোদী আসলে আদানিকেই 'রক্ষা' করছেন। বুধবার সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল। সেখানেই তিনি একথা বলেন।
বুধবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের বিতর্কের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের আক্রমণ করেন। তার পরপরই, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল অভিযোগ করেন যে মোদী আসলে শেল কোম্পানিগুলো নিয়ে রীতিমতো হতবাক। গৌতম আদানির ভাগ্যের উত্থানে মোদী সরকারের ভূমিকা রয়েছে। আর, সেকথা মাথায় রেখেই তিনি বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন বলেই দাবি করেছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আদানিকে 'রক্ষা' করার চেষ্টা করছেন।
রাহুল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী হতবাক। তিনি হতবাক এবং তাঁর কাছে কোনও উত্তর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী কোনও উত্তর দেননি। আমি কোনো জটিল প্রশ্ন করিনি। আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তিনি (গৌতম আদানি) আপনার সঙ্গে কতবার ভ্রমণ করেছেন? আপনি কতবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন? এই সব সহজ প্রশ্নেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও উত্তর ছিল না।'
মঙ্গলবার লোকসভায় তাঁর ৫৩ মিনিটের ভাষণে রাহুল অভিযোগ করেন যে ২০১৪ সাল থেকে মোদী ও তাঁর সরকার আদানিকে নানাভাবে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। তার জেরেই অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে উত্থান ঘটেছে এই শিল্পপতির। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় রাহুল বলেন, 'আমি সন্তুষ্ট নই। এটা একটা সত্য প্রকাশ করে দিল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একটা সত্যকে তুলে ধরল। কোনও তদন্তের উল্লেখ তিনি করেননি। তিনি যদি তাঁর (আদানির) বন্ধু না-হতেন, তাহলে তাঁর বলা উচিত ছিল, একটা তদন্ত হয়ে যাক।'
আরও পড়ুন- তুরস্কে ত্রাণসাহায্য: অতীতে বিপর্যস্ত দেশগুলোর প্রতি কেমন ছিল ভারতের ভূমিকা?
রাহুল অভিযোগ করেন যে আদানিকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গেও জুড়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, 'আদানি শেল কোম্পানি করেছে। বেনামে অর্থ লেনদেন করছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী কিছুই বলেননি। এটা পরিষ্কার যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে (আদানি) রক্ষা করছেন। এটি খুব বড় কেলেঙ্কারি। তিনি তা-ও বলেননি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই তাঁকে (আদানি) রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। আমি এটি বুঝতে পেরেছি এবং এর কারণ রয়েছে।'
Read full story in English