প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তেলঙ্গানা সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের প্রথম ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিট-সহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প মঙ্গলবার উদ্বোধন করেছেন। তিনি নিজামবাদে একটি জনসমাবেশে ভাষণ দেন। যেখানে তিনি কংগ্রেস এবং তেলেঙ্গানার শাসক দল বিআরএসকেকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। মোদী অভিযোগ করেন যে, রাজবংশের রাজনীতি ও দুর্নীতির জের ধরে এই বিরোধী দলগুলো 'গণতন্ত্র'কে 'লুট-তন্ত্র' বানিয়েছে।
এতেই না-থেমে সভায় মোদী দাবি করেছেন যে হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের পরে কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর) এনডিএতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, 'আমি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে তাঁর কাজকর্মের জন্যই তিনি এনডিএতে যোগ দিতে পারবেন না।' কেসিআরের পাশাপাশি, মঙ্গলবার নিজামাবাদের সভায় কংগ্রেসকেও একহাত নেন মোদী। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস চাইছে জাতপাত ভিত্তিক সমর্থন। কিন্তু, তাতে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর প্রতি চরম অবিচার হবে। সংখ্যালঘুদের পিঠে ছুরি মারার মত কাজ হবে।'
মোদীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা আক্রমণের রাস্তায় হেঁটেছে কেসিআরের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। দলের মন্ত্রী টি হরিশ রাও-সহ বিআরএস নেতারা মোদীর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। হরিশ রাও বলেন, 'মোদী যে কোনও জায়গায় যে কোনও কথা বলতেই পারেন। কিন্তু, এই দাবির কোনও সত্যতা নেই।' বিআরএসের পলিটব্যুরোর সদস্য বি বিনোদ প্রশ্ন তুলেছেন, মোদী যে সময়ের উল্লেখ করেছেন, সেটা তিন বছর আগেকার। এতদিন চুপ ছিলেন কেন? বিনোদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কথা বলেননি কেন? এইসব দাবির কোনও সত্যতা নেই।'
আরও পড়ুন- দিল্লিতে ‘নিগ্রহ’, পালটা কলকাতা তুলকালামের ডাক অভিষেকের! মুখ খুললেন মমতাও
মোদিকে আক্রমণ করে বিআরএসের মুখপাত্র মান্নে কৃষাঙ্ক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর চারমিনারে ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরে গিয়ে শপথ করে বলা উচিত যে তিনি সত্যই বলছেন। পরের বার যখন কোনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে যাবেন, তখন যাবতীয় কথোপকথন এবং দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি এবং রেকর্ড করে নেওয়া উচিত। কারণ, নরেন্দ্র মোদী রাজনৈতিক সুবিধার জন্য মিথ্যাকে যে কোনও স্তরে নিয়ে যেতে পারেন।'