এনডিএ বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটকে নজিরবিহীন কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। জঙ্গি গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে 'ইন্ডিয়া' জোটকে তুলনা করলেন নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক ছিল। সেখানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। ওই বৈঠকেই বিরোধী জোটকে তুলোধনা করেন মোদী। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ব্রিটিশদের তৈরি এবং ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানিও ব্রিটিশদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল। লোকেরা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের মতো নামও রাখে। এদের মুখ একরকম, কিন্তু সত্য অন্য রকম।'
দিল্লি থেকে বিজেপিকে উৎখাতে সর্বভারতীয় স্তরে ২৬ দলের বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'কে 'দিশাহীন' বলেও মন্তব্য করেছেন নমো।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর কথায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, 'মোদীজি বলেছেন যে বিরোধীদের আচরণেই স্পষ্ট যে আগামী বছরগুলিতেও তারা স্থায়ীভাবে বিরোধী থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' সঙ্গেও মোদী বলেছেন যে, 'মরিয়া এবং দিশাহীন বিরোধীদের পাল্টা আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।'
'ইন্ডিয়া' জোটের মোকাবিলায় শাসক দলের সাংসদদের উন্নয়নের সংকল্পে অনড় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেছেন, 'আমাদের ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ করতে হবে, আমাদের এই সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং এই স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে হবে।' এনডিএ জোটকেও আরও পোক্ত করার কথা বলেছেন নমো।
আরও পড়ুন- মণিপুর ইস্যুতে আজও উত্তাল সংসদ! মোদী সরকারকে কোণঠাসায় কী কৌশল ‘ইন্ডিয়া’র
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছিন এটাই চিন্তা করার সেরা সময়। ২০১৪ সালে, আমরা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে দশমস্থানে ছিলাম, দ্বিতীয় মোদী নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সরকারের সময় ভারতীয় অর্থনীতি দুনিয়ায় পঞ্চমস্থানে রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।'
'ইন্ডিয়া' জোটের নাম শুনেই ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতৃত্ব। মোদীর মন্তব্যের পর দাবি বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান।
মণিপুর ইস্যুতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানিয়েছে 'ইন্ডিয়া' জোট। যা নিয়ে সোমবার থেকে হইহট্টগোল চলছে লোকসভা ও রাজ্যসভায়। এদিনও দুই কক্ষই মুলতবি হয়েছে। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে এবার উভয় কক্ষেই সরাকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী জোট। এদিন শুরুতেই কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের কক্ষে বিরোধী জোটের বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।