বাংলার ভোটে নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর বিরোধী দলনেতা তথা এ রাজ্যে দলের অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটে ভরাডুবির পর এই প্রথম বাংলার কোনও নেতার সহ্গে কথা বললেন নমো। শুধু কথা বলাই নয়, মিনিট ৪৫ প্রায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন মোদী-শুভেন্দু।
কী আলোচনা হল বৈঠকে?
ফেসবুকে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি ধন্য। তিনি লিখেছেন, ‘৪৫ মিনিট ধরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয়েছে।’ কিন্তু এতেই শেষ নয়। পরে সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'রাজ্য যখন সংবিধান ও আইন মানছে না, তখন রাজনৈতিক, আইনি পথে যা ব্যবস্থা করা যায়, তা করা হবে।' অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। উস্কে দিয়েছেন ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের প্রেক্ষাপট।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: মোদীকে হটাতে এবার বিরোধী ‘ইউনিয়ান’ গড়ার ডাক মমতার
মঙ্গলবারই একই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জে পি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খল পরিস্থিতি, তাঁর উপর চুরির অপবাদ সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ জানান বিরোধী দলনেতা। বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের থেকেও খারাপ অবস্থা বলে তোপ দাগেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দল কোন পথে এগোবে নরেন্দ্র মোদী তার একটি রূপরেখা বিরোধী দলনেতাকে দিয়েছেন। অন্যদিকে, দিলীপ, মুকুল বা কৈলাসের সঙ্গে না বলে শুভেন্দু অধিকারীর কথা বললেন মোদী। যা গেরুয়া দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। পর্যবেক্ষকদের মতে, এতেই স্পষ্ট, আগামীতে দল পরিচালনায় দিল্লির পরামর্শ আসবে শুভেন্দুর হাত ধরেই। অর্থাৎ গুরুত্ব বাড়ল নন্দীগ্রামের বিধায়কের। দলেও যাতে তাঁরে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে না হয় শুভেন্দুকে ডেকে তাও বুঝিয়ে দিলেন নমো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন