প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার মধ্যপ্রদেশে বিরোধী কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে শহুরে নকশালরা কংগ্রেস দল চালাচ্ছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে শহুরে নকশালদের চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বন্ধুরা, আজ আমি দেশবাসীকে এবং মধ্যপ্রদেশের জনগণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জানাতে চাই। তা হল, কংগ্রেস তার সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শহুরে নকশালদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। যার জেরে কিছু কংগ্রেস কর্মী ক্ষোভে চুপচাপ বসে গিয়েছেন। তাঁরা আর কিছু বলছেন না। বাস্তবটা হল, কংগ্রেস এখন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাদের যাবতীয় সূচি এখন শহুরে নকশালরা ঠিক করছেন। কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের অনেকেই সেটা জানেনও। আর, সেটা জেনেই তাঁরা বসে গিয়েছেন।'
মোদী বলেন, 'কংগ্রেস মুখে দরিদ্রদের উপকারের কথা বললেও আসলে তাদের কাছে দরিদ্রদের জীবন হল অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের মত। দরিদ্রদের বস্তি হয়ে উঠেছে তাঁদের পিকনিক আর ভিডিও করার জায়গা। দরিদ্র কৃষকদের খেত তাঁদের কাছে ফোটো সেশনের মাঠ। অতীতেও তাঁরা একই কাজ করেছে। ভারতে এবং বিদেশে তাঁদের বন্ধুদের নিয়ে কংগ্রেস ভারতের দরিদ্রদের উপহাস করেছে। আর, সেটা আজও করে চলেছে। অন্যদিকে, বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্বের কাছে তার শক্তি প্রদর্শন করেছে। নিজেকে তুলে ধরেছে।'
আরও পড়ুন- ‘মরচে ধরা লোহা’, কাকে এমন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী?
সভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়েও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চরম দ্বিচারিতার অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এসে দ্রৌপদী মুর্মুর মত আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করেছে। কিন্তু, দীর্ঘ শাসনে কংগ্রেস কোনওদিন তা করেনি। তারা মহিলা সংরক্ষণ বিল বলে এত লাফাচ্ছে, অথচ এই মহিলা সংরক্ষণ বিলই কংগ্রেস ২০ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করেছিল। যেটা বিজেপি ক্ষমতায় এসে করে দিয়েছে। এবার মহিলা সংরক্ষণ বিল তারা (কংগ্রেস) স্রেফ রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে সমর্থন করেছে।' নির্বাচনে ভোটদানের সময় জনসাধারণ যেন এই সব বিষয়গুলো মাথায় রাখেন, সভায় সেই আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।