পেগাসাস, কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ নানা ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের হইহট্টগোল, স্লোগানে এদিন দফায় গদফায় মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভা। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারকে আরও কড়া বিরোধীতার সামনে ফেলতে মরিয়া রাহুল গান্ধী সহ গোটা বিরোধী শিবির। সংসদে একযোগে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা নিরুপণে বুধবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে বিরোধীদের বৈঠক হয়। তারপর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, "পেগাসাস ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে না সরকার। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আমাদের ফোনে অস্ত্র ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারকে জানাতে হবে, যে অস্ত্র দেশদ্রোহী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, তা গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপরে প্রয়োগ করা হল কেন? কেন প্রধানমন্ত্রী এভাবে ফোনের মধ্যে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিলেন?"
বিজেপির অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সংসদে আলোচনা চায় না। তাই হইহট্টোগোল করছে। গেরুয়া শিবিরের এই অভইযোগ নস্যাৎ করেছেন রাহুল। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "আমরা কেবল জানতে চাই সরকার পেগাসাস কিনেছিল কিনা। হ্যাঁ কিংবা না- উত্তর দিক সরকার। যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে এটা জানাক কাদের কাদের উপরে তা প্রয়োগ করা হয়েছে। কেন সেটা সরকার জানাতে পারছে না? এরপর সংসদ অচল করার অভিযোগ মানছি না। আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করছি। যদি আমরা এখন পেগাসাস নিয়ে আলোচনা স্থগিত রেখে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করি, তাহলে পেগাসাস নিয়ে আর আলোচনা হবে না। গণতন্ত্রের উপরে আঘাতের পরে এ নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত জরুরি।"
আরও পড়ুন- সুখেন্দু শেখরের বাড়িতে টিএমসির সংসদীয় বৈঠকে মমতা, ‘সৌজন্য সাক্ষাত’, মন্তব্য সৌগতর
ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদের কথায়, "যে অস্ত্র দেশদ্রোহী, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা উচিত ছিল।, সেটা আমি সহ একাধিক বিরোধী নেতা, সাংবাদিক, বিচারপতি সহ অনেক ভারতীয়র বিরুদ্ধে প্রয়োগ হয়েছে। আমি অমিত শাহ , নরেন্দ্র মোদীকে জিজ্ঞেস করতে চাইছি তাঁরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রকে কেন ব্যবহার করলেন?"
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৪টি বিজেপি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। রাহুল গান্ধীর দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। আগামীতে মোদী সরকারকে নিশানা করতে বিরোধিরা যে জোটবদ্ধ তার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বুধবারের বৈঠক থেকে।আগামিতে লোকসভা ও রাজ্যসভাও যে কার্যত অচল হতে পারে তারও ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবে, বিরোধী দলগুলোর সংসদীয় দলনেতাদের এই বৈঠকে অবশ্য তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। ফলে বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন