Modi-Bhagwat meet on March 30: প্রথমবারের মতো আরএসএস সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী মোদী। চলতি বছরই শতবর্ষে পা দিতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তার আগেই সংঘের সদর দফতরে আসছে মোদী। যাকে কেন্দ্র করে চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির পারদ। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ৩০শে মার্চ নাগপুরে আরএসএস সদর দপ্তর পরিদর্শন করবেন। ১১ বছরের মধ্যে এই প্রথম মোদী আরএসএস সদর দপ্তরে যাবেন এবং সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সাথে দেখা করবেন। এছাড়াও, এটিই প্রথমবারের যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী আরএসএস সদর দপ্তর সফর করবেন। তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদী সেদিন একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি মোহন ভাগবতের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পর, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে দেখা যাবে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর ফের একই মঞ্চে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে। প্রধানমন্ত্রী এদিন মোদী আরএসএস-সমর্থিত একটি চক্ষু হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন। এই কর্মসূচির পর, মোদী এবং ভাগবতের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হবে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল চর্চা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম মোদী আরএসএস সদর দপ্তরে যাবেন। মোদী এবং ভাগবতের মধ্যে এই বৈঠক এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন বিজেপি এবং আরএসএসের মধ্যে 'উত্তেজনা' নিয়ে জল্পনা চলছে। বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতির নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। সম্ভবত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই নাম ঘোষণা হবে নয়া সর্বভারতীয় সভাপতির।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনে আরএসএসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এপ্রিল মাসে বেঙ্গালুরুতে বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে, যেখানে নতুন সর্বভারতীয় সভাপতির নাম নির্ধারণ করা হবে।
মোদী এবং ভাগবতের শেষ দেখা হয়েছিল ২০১৪ সালের ১০ মে দিল্লিতে, যখন মোদী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে ব্যস্ত ছিলেন। ২০২৩ সালে নাগপুরে অনুষ্ঠিত সভা কর্ণাটক নির্বাচনের কারণে বাতিল করা হয়েছিল। এখন সকলের নজর ৩০শে মার্চ আরএসএস সদর দপ্তরে এই বৈঠকের দিকে। জানিয়ে রাখি যে, ২০২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ হবে।