'লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার' পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী বছর লোকসভা ভোট। বিজেপিকে ক্ষমতা তেকে সরতে ২৬টি বিরোধী দল জোট বেঁধে গঠন করেছে 'ইন্ডিয়া'। যাকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেই 'ইন্ডিয়া' জোটের অন্যতম নেতা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের উপস্থিতিতে এদিন পুনেতে সম্মান গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। 'সর্বোচ্চ নেতৃত্বে'র, স্বীকৃতিস্বরূপ এবং 'নাগরিকদের মধ্যে দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগ্রত করার' জন্যই 'লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরষ্কারে' ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন যে, স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রভাগে থাকা লোকমান্য তিলকের নামে পুরস্কার পেয়ে সম্মানিত তিনি। পুরস্কার মূল্যের ১ লক্ষ টাকা তিনি 'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পে দান করবেন বলে জানিয়েছেন নমো।
মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চ না থাকার জন্য বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিক দলের নেতারা শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করেছিলেন। জোটের শরিক নেতারা মনে করেছিলেন যে, যখন বিজেপির বিরুদ্ধে একটি বিরোধী জোট তৈরি করা হচ্ছে, সেই সময়ে বিজেপি বিরোধী কোনও দলের নেতার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা উচিত হবে না। থাকলে তা ভুল বার্তা যেতে পারে। কিন্তু, পাওয়ার সেই আবেদন উপেক্ষা করেন। এমনকী 'ইন্ডিয়া' জোটের সাংসদের সঙ্গেও দেখা করেননি মারাঠা রাজনীতির পোড়-খাওয়া রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ার।
লোকমান্য তিলকের উত্তরাধিকারকে সম্মান করার জন্য ১৯৮৩ সালে এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছর ১লা আগস্ট, তিলকের মৃত্যুবার্ষিকীতে এটি প্রদান করা হয়। কিছু সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা মোদীর সফরের সময় যৌথভাবে বিক্ষোভ করেছে। বিশিষ্ট সমাজকর্মী বাবা আধভ এই প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভকারীরা কালো পতাকা দেখান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।