বিরোধীরা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সঙ্গেই ২০১৯ সালে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। সেই মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে এই জাতীয় প্রস্তাব আনার জন্য কঠোর প্রস্তুতি নিতে কার্যত উপহাস করেই বিরোধী দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের চেয়েও বেশি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে বিজেপি লোকসভায় ২৮২টি আসনে জিতেছিল। আর, ২০১৯ সালে জিতেছে ৩০৩টি আসনে।
সরকারি গণমাধ্যমগুলো প্রধানমন্ত্রীর সেই ভবিষ্যদ্বাণী ফলাও করে প্রচার করেছে। মোদী এক বিরোধী সদস্যের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন, একসময় লোকসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৪০০ ছিল। ঔদ্ধত্যের কারণেই তা ২০১৪ সালে ৪০-এ নেমে এসেছে। আর, বিজেপির আসন সংখ্যা একসময় লোকসভায় ছিল ২। সেই বিজেপিই নিজের ক্ষমতায় (নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি) লোকসভায় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেষবার মোদী সরকার ২০১৮ সালে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছিল। সেটা ছিল প্রথম মোদী সরকারের কার্যকাল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর সেবারও লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেক বেশি আসন ছিল। যার ফলে, বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ব্যাপক ভোটে হেরে গিয়েছিল। বর্তমানে লোকসভার পাশাপাশি, রাজ্যসভাতেও এনডিএ রীতিমতো স্বচ্ছন্দে রয়েছে।
তারই মধ্যে স্পিকার ওম বিড়লা বুধবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ-এর আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। মণিপুর এবং অন্যান্য জ্বলন্ত ইস্যুতে বিরোধী এবং ট্রেজারি (শাসক) বেঞ্চের মধ্যে বিতর্ক এবং ভোটাভুটির মঞ্চ তৈরি করেছেন। বিড়লা জানিয়েছেন যে তিনি সমস্ত দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই নিয়ম অনুসারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার তারিখ সাংসদদের জানাবেন।
আরও পড়ুন- মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা, কী এই প্রস্তাব?
লোকসভায় বর্তমানে সাংসদের সংখ্যা ৫৪৩। তার মধ্যে ৫টি শূন্যপদ রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর রয়েছে ৩৩০ জনেরও বেশি সদস্য। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)-র রয়েছে ১৪০ জনের বেশি সদস্য। এনডিএ এবং ইন্ডিয়া- এই দুই জোটে নেই, এমন দলগুলোর রয়েছে ৬০ জনেরও বেশি সাংসদ।