সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হলেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সূর্যকান্ত মিশ্রকে সরিয়ে সেলিমের হাতেই এরাজ্যে দলের ভার ছাড়লেন নেতারা। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সিপিএমের নতুন যে রাজ্য কমিটি হয়েছে তা থেকে এবার সরে গিয়েছেন বিমান বসু, রবীন দেব, গৌতম দেবের মতো নেতারা। তাঁদের বদলে রাজ্য কমিটিতে আনা হয়েছে সুশান্ত ঘোষ, শতরূপ ঘোষদের। রাজ্য কমিটিতে আনা হচ্ছ সুদীপ সেনগুপ্ত, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়দেরও।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ থেকে সিপিএমের তিন দিনের রাজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল এই সম্মেলনের শেষ দিন। সম্মেলনের শেষ দিনে মহম্মদ সেলিমকেই দলের নতুন রাজ্য সম্পাদক করল সিপিএম। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্য সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ভালোই এগিয়ে ছিলেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। এমনকী আলিমুদ্দিনের একটি বড় অংশের সমর্থনই ছিল শ্রীদীপের পক্ষে।
তবে সেলিমের তুলনায় শ্রীদীপের পরিচিতি কম বলে সওয়াল ওঠে সম্মেলনে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে দলের যা পরিস্থিতি তাতে সেলিমের মতো একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা নেতাকে পার্টির দায়িত্ব দিলে তা হিতকর হতে পারে বলে মেনে নেন অধিকাংশ নেতা। শেষমেশ পার্টি সম্মেলনের শেষ দিনে রাজ্য সম্পাদকের পদে সেলিমের নামেই পড়ল সিলমোহর।
আরও পড়ুন- আয়কর হুমকি: বিধানসভায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস গ্রহণ স্পিকারের
অন্যদিকে, এ বার সিপিএমের রাজ্য কমিটি থেকে সরে গিয়েছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, গৌতম দেবরা। মূলত বয়সের জন্যই তাঁরা স্বেচ্ছায় সরেছেন বলেই জনা গিয়েছে। রাজ্য কমিটিতে এবার জায়গা পেয়েছেন সুশান্ত ঘোষ, প্রদীপ সরকার, সুদীপ সেনগুপ্ত, শেখ ইব্রাহিম, পার্থ মুখোপাধ্যায়, শতরূপ ঘোষেরা।
সেলিমেই ভরসা কেন? এই মুহূর্তে দলের জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে অনত্যম সেলিমই। এর আগে বাম জমানায় রাজ্যের একজন মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন সেলিম। দু'ফায় সামলেছেন রাজ্যসভায় সাংসদ পদের দায়িত্ব। এরই পাশাপাশি কলকাতা উত্তর কেন্দ্র এবং রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয় পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন সেলিম। বর্তমানে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তিনি। সব দিক ভেবে তাই সুবক্তা সেলিমকেই দলের নতুন রাজ্য সম্পাদক হিসেবে বেছে নিয়েছে সিপিএম।