মুসলিমদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু, তাঁদের অবশ্যই আধিপত্যের ভাবনা ছাড়তে হবে। একবছর পর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ঠিক এই ভাষাতেই মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সঙ্ঘের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে তাল দিলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। সঙ্ঘের মুখপত্র পাঞ্চজন্য এবং অর্গানাইজারে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ভাগবত বলেছেন, 'হিন্দু সমাজ হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য আরেকটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।'
মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও LGBTQ অধিকারের প্রতি অবশ্য সংঘের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন ভাগবত। একইসঙ্গে ভাগবত জানিয়েছেন যে সংঘ প্রথাগত রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে। তবে, জনগণের উদ্বেগ স্বয়ংসেবকদের কাছে পৌঁছে দেবে। ভাগবতের দাবি, ভারত এবং অন্যত্র হিন্দুদের মধ্যে নতুন আগ্রাসনের মনোভাব জেগে উঠেছে। এর কারণ, হিন্দু সমাজ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে লিপ্ত। অবশেষে সেই সমাজ সঙ্ঘের সমর্থনে জেগে উঠেছে।
সাক্ষাৎকারে সরসঙ্ঘচালক বলেছেন, 'আপনি দেখুন, হিন্দু সমাজ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে। এই লড়াই চলছে বিদেশি আগ্রাসন, বিদেশি প্রভাব এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। সঙ্ঘ এই কারণে হিন্দুত্বের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে। অনেকেই এনিয়ে কথা বলছেন। আর, সেসবের জন্যই হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। যারা যুদ্ধে জড়িত, তাঁদের আক্রমণাত্মক হওয়াই স্বাভাবিক।' ভাগবতের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্গানাইজারের সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকর ও পাঞ্চজন্যর সম্পাদক হিতেশ শংকর।
আরও পড়ুন- রাজীব জমানায় অসম চুক্তির ভিত্তিতে তৈরি নাগরিকত্ব আইন বৈধ? বলবে সুপ্রিম কোর্ট
আরএসএসের দুই মুখপত্রকে দেওয়া তাঁর এই সাক্ষাৎকারে হিন্দু সমাজ আরেকটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে বলে দাবি করে ভাগবত বলেছেন, 'এই যুদ্ধ বাইরের শত্রুর বিরুদ্ধে নয়। ভিতরের শত্রুর বিরুদ্ধে। তাই হিন্দু সমাজ, হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু সংস্কৃতি রক্ষার যুদ্ধ চলছে। বিদেশি হানাদাররা আর নেই। কিন্তু, বিদেশি প্রভাব ও বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু এটি একটি যুদ্ধ, মানুষ অতিমাত্রায় উত্তেজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এটা কাম্য নয়, তবুও উসকানিমূলক বক্তব্য চলবে।'
Read full story in English