যত তাড়াতাড়ি রাম মন্দির নির্মাণ করা যাবে, তত দ্রুত হিন্দু মুসলিম টেনশন মিটে যাবে। তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাম মন্দির গড়া উচিত, বলেছেন মোহন ভাগবত। কাশ্মীর নিয়ে তাঁর বক্তব্য আরএসএসের এতদিনকার বক্তব্যের থেকে আলাদা কিছু নয়, যত সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৭৫ নং অনুচ্ছেদ বাতিল করা। তবে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের প্রসঙ্গে তিনি আরেকটু বাস্তববাদী সহমতের পক্ষে।
আরএসএসের তিন দিনের ভাষণমালার শেষ দিনে মোহন ভাগবত বলেছেন, ‘‘মন্দির এত দিনে তৈরি করে ফেলা উচিত ছিল। একটা দারুণ রাম মন্দির বানিয়ে ফেললে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে যাবে, এবং সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে মন্দির বানালে কেউ আর মুসলমানদের দিকে আঙুল তুলতে পারবে না।’’
অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীনই এই মন্তব্য করলেন তিনি।
গত দু দিন ধরে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন মোহন ভাগবত। সেখানে সংরক্ষণ থেকে সংখ্যালঘু ইস্যু, গণপ্রহার থেকে সংঘ ও সরকারের সম্পর্ক- এসব কিছু নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল।
ইভিএমে নোটা-র সমালোচনা করে মোহন ভাগবত বলেন, ১০০ শতাংশ সেরা কাউকে পাওয়া রাজনীতিতে প্রায় অসম্ভব, ফলে যা পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যেকার সেরাকেই বেছে নিতে হবে।
‘‘নোটাতে আমরা যা পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যেকার সেরাকেও প্রত্যাখ্যান করছি, তার ফলে সবচেয়ে খারাপ সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। নোটা ব্যবহার করা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। যা পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যেকার সেরাকেই আমাদের বেছে নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’’ এ বছরই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে মোহন ভাগবতের এ বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘আলোচনর সময়ে বারবারএ একে হিন্দু-মুসলিম বিষয় বলে উঠে আসে। কিন্তু এ ব্যাপারটা তাতেই সীমাবদ্ধ নেই। কোড লাগু হলে সকলের জীবনযাত্রাই পাল্টে যাবে, এমনকী হিন্দুদেরও। আদিবাসীদেরও নিজস্ব আইন আছে। এই বৈচিত্র্য রয়েছে, সংবিধান তাকে মান্যতাও দেয়... এ সব বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে যে কোনধরনের কোড চালু করার আগে সমাজে সহমতের চেষ্টা করা উচিত... কিন্তু তা লাগু করার প্রশ্ন এলে, সমাজে বিভিন্ন গোষ্ঠী থাকতে পারে না।"