সম্প্রতি গোটা দেশে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিল গুজরাটের মোরবি। এখানকার ঝুলন্ত সেতু বা ঝুলতো পুলের দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। ৩০ অক্টোবর এই মোরবি শহরেই ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার কারণ, সেতু দুর্ঘটনা। যে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেই মনে করেছিলেন এই দুর্ঘটনার জেরে এবার বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে মোরবিতে হারবে। কিন্তু, না। মোরবিতেও জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি।
শুধু জয় বললে একে কম বলাই হবে। ভোটগণনা তখনও মাঝপথে। তার মধ্যেই বিজেপি প্রার্থী কান্তিলাল অমরুতিয়ার সঙ্গে কংগ্রেসের জয়ন্তীলাল প্যাটেলের ব্যবধান দাঁড়ায় ২২,৪৮৯ ভোট। পাঁচ বারের বিধায়ক অমরুতিয়া। ঝুলতো পুলে দুর্ঘটনার পরই নিজে কোমর বেঁধে উদ্ধারকাজের তদারকিতে নেমে পড়েছিলেন। নদীর জলে নেমে বিধায়ক উদ্ধারকাজের জন্য সাঁতরাচ্ছেন, সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ১১ রাউন্ড ভোটগণনার পর দেখা যায় অমরুতিয়া পেয়েছেন ৪৭,৯২২ ভোট। আর, জয়ন্তীলাল প্যাটেল পেয়েছেন ২৫,৪৩৩ ভোট।
অথচ, এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। কারণ, মোরবি পুরসভায় বিজেপিই ক্ষমতায়। যে সেতুতে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটাও পুরসভার তত্ত্বাবধানে আছে। পুরসভা সেতু মেরামতির দায়িত্ব দিয়েছিল ওরেভা গ্রুপের অজন্তা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেডকে। আর, এই সব কারণেই কংগ্রেস এবং আপ গোটা ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছিল। দুই বিরোধী দলেরই অভিযোগ ছিল, সেতুর মেরামতি ঠিকমতো হয়নি। আর, সেই ব্যাপারে কোনও নজরই রাখেনি মোরবি পুরসভা। শুধু যে নজর রাখেনি, তা-ই নয়। পুরসভা দাবি করেছিল যে ওই সেতু ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কাজ দিল না মোদী ম্যাজিক, হাতের হাতছানিতে হিমাচলে তছনছ পদ্মবন, কিন্তু কেন?
এর আগে ২০১৭ সালে অমরুতিয়া অল্পের জন্য কংগ্রেসের ব্রিজেশ মেরজার কাছে হেরেছিলেন। যাইহোক, মেরজা ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। পরবর্তী উপনির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। আর, ভূপেন্দ্র প্যাটেলের বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী হন। বিজেপি, যদিও, পুনঃনির্বাচনের জন্য মেরজাকে প্রার্থী করেনি। পরিবর্তে অমরুতিয়াকে প্রার্থী করেছিল। কারণ, তিনি এই আসন থেকে ১৯৯৫, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৭ এবং ২০১২ সালে- এই পাঁচ বার জয়ী হয়েছিলেন।
Read full story in English