বিজেপিতে বিদ্রোহ? বড়দিনে সেই প্রশ্নেই প্রকট হল এ রাজ্যের গেরুয়া দলের অন্দরে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কমিটি গঠন হয়েছে। শনিবার হল জেলা কমিটি গঠন। উভয়স্তরেই ব্যাপক রদবদল হয়েছে। আর তারপরই নয়া কমিটি ঘিরে জোর শোরগোল পদ্ম বাহিনীর অভ্যন্তরে। সামনে আসছে নেতৃত্বের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এ দিনই দলের হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন একাধিক বিধায়ক। ফলে বাংলার প্রধান বিরোধী দলে গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি নয়া মাত্রা পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিধায়ক ও নদিয়ার এক বিজেপি বিধায়ক দলের হোয়াটঅ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। এঁরা হলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও হরিণঘাটার উত্তরের বিধায়ক অসীম সরকার।
নব গঠিত রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই না পেয়ে এর আগে দলীয় সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
কেন হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক দলীয় বিধায়ক বিজেপির হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন? গ্রুপ-ত্যাগী বিজেপি বিধায়করা এই বিষয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি। তবে সূত্রের খবর, মতুয়াদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। বনগাঁ থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন মতুয়া মহাসংঘের অন্যতম সদস্য তথা বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। সেই রেশ ধরেই মতুয়া অধ্যুষিত বিধানসভাগুলিতে একুশের ভোটে জয় পেয়েছে পদ্ম প্রার্থীরা। তা সত্ত্বেও নয়া রাজ্য কমিটিতে মতুয়া নেতৃত্বের কেউ গুরুত্বপূর্ণ পদ পাননি। যার জেরেই মতুয়া বিজেপি নেতা, কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। প্রতিবাদে এ দিন দলের হোয়াটঅ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ মতুয়া সম্প্রদায়ের বিধায়করা।
এ বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'আমি এ প্রসঙ্গটা জানি না। তবে নয়া কমিটি হলে অনেকের ক্ষোভ বাড়ে। কারণ অনেকের অনেক প্রত্যাশা থাকে। তা না মিটলেমনোমালিন্য় বাড়ে, যা অস্বাভাবিক নয়।'
বিজেপির অন্দরের 'ক্ষোভ' নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'ওদের স্বপ্নের ফানুস ফেটে গিয়েছে। এবার দলের মধ্যে নানা বিদ্রোহ হচ্ছে। তাই তৃণমূলকে আক্রমণ না করে নিজেদের ঘর সামলাক ওরা।'
আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজেপিতে বদলের হাওয়া, জেলা কমিটিগুলিতেও ব্যাপক রদবদল