রাজ্যে ফের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে নিজের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিজেপি সাংসদ। বিজেপির অভিযোগ, ‘বাংলার কয়েকটি জেলায় এখনও শাসকদলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীরা।‘ হুগলি জেলাতেও বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে করছেন সেই লোকসভার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এবার এই হিংসার প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন লকেট। দিন তিনেক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। রবিবার থেকেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের তিনি আসতে বারণ করে দেন। তিনি ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’র নিরাপত্তা পেতেন। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিতে লকেট লেখেন, ‘বাংলায় হিংসা চলছে। মহিলারা এখানে সুরক্ষিত নন। এই পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধি হয়েও আমি সুরক্ষা দিতে পারছি না জনগণকে। তাই আমি চাইছি, আমার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হোক।’
হুগলিতে শাসকদলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁর দলের কর্মীরা। এই অভিযোগ জানিয়ে এর আগে চন্দননগর, চুঁচুড়া, ধনেখালি-সহ কয়েকটি থানায় যান লকেট। সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে দলীয় কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানান তিনি।
এদিকে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আবহে মানুষের জন্য ‘ঝাঁপিয়ে পড়ে’ কাজ করতে বিজেপি নেতা কর্মীদের বার্তা দিলেন পদ্মশিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। জনগণের মধ্যে ভয় ও ক্ষোভ দূর করে বিজেপি নেতৃত্বকে আরও সামনে এসে কাজ করার কথাও বলেন তিনি।
সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, দলীয় নেতাদের ওষুধের সরবরাহ, হাসপাতালের শয্যাগুলির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য অবকাঠামোগত উন্নতি ও “সামাজিক কার্যক্রম” বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বিজেপি কর্মীদের এও বলা হয়েছে যে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করারও চেষ্টা করা হচ্ছে। টুলকিট ব্যবহার করে তা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কেন্দ্র টুইটারকেও অবগত করেছে। বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “এটা সত্য যে দল ও সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক আখ্যান তৈরি করা হয়েছে”।