লোকসভা নির্বাচনের বাকি এখনও দুবছর। কিন্তু দেখাই মিলছে না সাংসদের। পরের বার টিকিট পাবেন কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তার মাঝেই নতুন বিতর্ক বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানকে ঘিরে। তৃণমূল সাংসদের নামে নিখোঁজ, সন্ধান চাই পোস্টার পড়ল বসিরহাটে। তাও আবার প্রচারে তৃণমূল কর্মীরাই। যা ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরে।
বসিরহাটের চাঁপাতলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সাংসদের নামে এই পোস্টার পড়েছে। কোথাও লেখা, এমপি নুসরত জাহান নিখোঁজ। সন্ধাই চাই, প্রচারে তৃণমূল কর্মীবৃন্দ। আবার কোথাও লেখা প্রতারিত জনগণ। তবে প্রচারে তৃণমূল কর্মীবৃন্দ লেখা পোস্টারের সংখ্যাই বেশি। এই সব পোস্টার দেখতে পেয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফেই। তবে দলের একাংশের মধ্যেই সাংসদকে নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা নিয়ে মুখে কুলুপ তৃণমূলের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোস্টার দেওয়ালে সাঁটিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে অস্বস্তি হলেও তাঁদের অনেকেই নৈতিকভাবে সমর্থন করছেন এই অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পোস্টারে যে কথা লেখা রয়েছে তা একদম ঠিক। ভোট দেওয়ার পর থেকে সাংসদকে আমরা গ্রামে দেখতে পাইনি।
আরও পড়ুন সবধর্মের প্রার্থনাস্থল হোক জ্ঞানবাপী, তসলিমার টুইটে বিতর্কে ঘি
পোস্টার পড়ার খবর চাউর হতেই সমস্ত এলাকা ঘুরে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরি। তবে পোস্টারের বক্তব্যকে সমর্থনও করছেন তিনি। সাংসদ এলাকায় না আসায় তাঁকে নিয়ে স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেছেন, "ভোটের পর থেকে সাংসদ নুসরত জাহানকে গ্রামবাসীরা কাছে পাননি। তাই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পোস্টারে তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।"
আরও পড়ুন আসান হবে না আগামী, দেওয়াল লিখন আসানসোল, গভীর অঙ্কে অর্জুনের চোখ
বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপিও। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার পোস্টার নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, "সাংসদ টিকটক আর সিনেমার পর্দার পিছন থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের জন্য কাজ করুন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই এখন সাংসদকে নিয়ে ক্ষুব্ধ।"