রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। নিজেই ফেসবুক পোস্টে এই ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে, দল ছাড়ছেন না সৌমিত্র। তিনি বিজেপিতে রয়েছেন, আগামিতেও গেরুয়া দলে থাকবেন বলে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন।
Advertisment
ফেসবুক পোস্টে সৌমিত্র কাঁ লিখেছেন, 'আজ থেকে আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। বিজেপি-তে ছিলাম, বিজেপি-তে আছি, আর আগামী দিনে বিজেপি-তেই থাকব।'
আর কয়েক ঘন্টা পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে। মোদী মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের জায়গা প্রায় পাকা। কিছুক্ষণ আগেই ফেসবুক পোস্টে এই দুই সতীর্থকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন বলে শুভেচ্ছাও জানান সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু, তার এক ঘন্টার মধ্যেই সেই ফেসবুক পোস্টেই বিষ্ণুপুরের সাংসদ ঘোষণা করলেন, রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদের দায়িত্ব ছাড়ছেন তিনি।
তাহলে কী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পেয়েই এই সিদ্ধান্ত? জল্পনা তুঙ্গে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ সৌমিত্র। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর মতানৈক্যের প্রবল আকার ধারণ করেছে। যা গোটা রাজ্য বিজেপির কাছেই চরম অস্বস্তির। ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করে সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, 'গোটা বিজেপিটাই তো এখন পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর চালাচ্ছে।' ফলে নেতৃত্বের সঙ্গে সংঘাতও সোমিত্রের যুব সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার অন্যতম কারণ।
ব্যক্তিগত কারণে সংগঠনের পদ ছাড়ার কথা বললেও আদতে নেতৃত্বের সঙ্গে মতপার্থক্য মানিয়ে নিতে পারছেন না সৌমিত্র, তা স্পষ্ট। এবার কী তাহলে এই বিজেপি সাংসদের দল ছাড়ার সম্ভাবনা জোড়ালো হচ্ছে? কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিনে সেই জল্পনাই মাথাচাড়া দিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন