Lakhimpur Violence: লখিমপুর-কাণ্ডের সমালোচনা করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের রোষানলে সাংসদ বরুণ গান্ধি। তাঁকে দলের নবগঠিত কার্যকরী কমিটির বাইরেই রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এই কমিটির নাম ঘোষণা করেন। ৮০ সদস্যের কমিটির বাইরে প্রবীণ বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধিও।
তবে শুধু সমালোচক বরুণ গান্ধি নয়, কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দর সিং। কেন্দ্রের গৃহীত কৃষি আইনের সমালোচনায় প্রথম থেকেই সরব তিনি।
এদিকে, লখিমপুর খেরিতে চার কৃষক-সহ আটজনের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বৃহস্পতিবার এইভাবেই মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে যোগী প্রশাসনের কাছে গোটা ঘটনার স্টেটাস রিপোর্ট তলব করল শীর্ষ আদালত। জানতে চাইল, এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের এবং কজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এদিন লখিমপুর কাণ্ডের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রথম শুনানি হয়। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সিনিয়র আইনজীবী গরিমা প্রসাদ এদিন আদালতে জানান, রাজ্য সরকার একটি স্টেটাস রিপোর্ট কোর্টে জমা দেবে। একদিন সময় চেয়েছে রাজ্য সরকার। বিচারপতিদের বেঞ্চ আগামিকাল সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শুনানি করবে।
এদিন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আট জন ঘটনায় মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কৃষকরাও রয়েছেন। একজন সাংবাদিক ও অন্যান্যদের মৃত্যুর খবরও পেয়েছি। আমরা জানতে চাই, কাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না। দয়া করে সেই স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে জমা করুন।
প্রসঙ্গত, বুধবারই শীর্ষ আদালত লখিমপুর কাণ্ডে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। উত্তরপ্রদেশের আইনজীবী শিবকুমার ত্রিপাঠী এবং সি এস পাণ্ডার চিঠির ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়। আইনজীবী ত্রিপাঠী চিঠিতে জানান, আমার আশা আপনারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। বেশ কয়েকজন কৃষক মারা গিয়েছেন প্রশাসনের গাফিলতিতে। এই ইস্যুতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
কাউন্সেল সওয়াল করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং গোটা দেশে। রাজ্য সরকার কৃষকদের অসহায়তার জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে জানিয়েছেন, পুলিশ ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে এই মামলায়। সরকারি আইনজীবী বলেছেন, একটি সিট গঠন করা হয়েছে তদন্তের জন্য। আদালত অনুমতি দিলেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন