ভোটের আগেই রাজ্যে এসে গিয়েছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জেলায় টহলের কাজও শুরু করেছে তারা। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে বেগামাল মন্তব্য করে হুঁশিয়ারি দিলেন ভাঙড়ের ভোগালি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা মুদাস্সর হোসেন।
কী বলেছেন মুদাস্সর হোসেন?
শনিবার তৃণমূলের কর্মীসভা ছিল ভাঙড়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। ওই সভাতেই ভাঙড়ের ভোগালি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বলেন, 'তৃণমূলের লোক ছাড়া কেউ ভোট দিতে যেতে পারবে না। যারা তৃণমূলকে ভোট দেবে না, তারা ঘরে শুয়ে থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথ পাহারা দেবে, আমাদের ছেলেরা মাঠে খেলবে।'
এখানেই থেমে থাকেননি মুদাস্সর। মঞ্চে কার্যত হুঁমকির সুরেই বলেন, 'ভোগালি ২ নম্বর পঞ্চায়েতে ১৪ হাজার ভোট রয়েছে। সবটাই আমাদের চাই। যতই আধা সেনা আসুক আমরা যখন দলের হয়ে লড়াইতে নামি তখন পিছনে ফিরে তাকাই না। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি-তৃণমূল বলছে খেলা হবে। আমাদের সব প্লেয়ার তৈরি আছে। এখানে খেলা হবে অন্যকরম। এখানে বিরোধী শূন্যের খেলা হবে। কোনও বিরোধী থাকবে না।'
আরও পড়ুন- ‘শুধু নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে’, মমতাকে গেরুয়া নেতৃত্বের সম্মিলিত চ্যালেঞ্জ
দলীয় নেতার এই মন্তব্যকে অবশ্য হুমকি হিসাবে নয়, বরং দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতেই ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, 'বাহিনী এসেছে। কিন্তু, ওই পঞ্চায়েতের সব ভোটই আমাদের প্রয়োজন। তাই কর্মীদের চাঙ্গা করতে মুদাস্সর ওই কথা বলেছে। যদিও বোঝাতে গিয়ে আরেকটু সংযত হলে ভাল হত।'
আরও পড়ুন- রামের পাল্টা দুর্গা, কৌশলে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বহিরাগত’ তকমায় শান তৃণমূলের
অন্যদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিকে 'বেনজির' বলে তোপ দাগেন বিরোধী সিপিএম ও বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, 'ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জীর কথা বলেছেন মুদাস্সর হোসেন। মানুষের অধিকারকে ওরা খেলা ভেবে নিয়েছেন। এবার আর গতবারের পুনরাব়ৃত্তি হবে না। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। হুমকিতে চিঁড়ে ভিজবে না।' বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'দুই শাসক দলই রাজনীতিতে অশ্লীল মন্তব্যের প্রয়োগ করছে। যা অনৈতিক। এরা আর কত সন্ত্রাস করবেনয মানুষ সব বুঝে নেবেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন