প্রতারণার অভিযোগে বিজেপি নেতা বাবান ঘোষের গ্রেফতারির পর হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন মুকুল রায়। বাবানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, "এমন ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন তো করতেই হবে। মমতার সঙ্গে লড়াইয়ে আইন দিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।" একইসঙ্গে মুকুলের মন্তব্য, "চোখের সামনে দেখব মমতা সরকার থেকে চলে যাচ্ছে।" এদিকে বাবান ঘোষের গ্রেফতারের ঘটনায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। স্বভাবতই তাঁর এই গ্রেফতারিতে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। আগামী ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
এক্সক্লুসিভ শোভন: মমতাকে তৈরি করতে সব নষ্ট করে জীবন দিয়েছিলাম, আর উনিই রাজনীতি করলেন
বিজেপির মজদুর সংগঠনের নেতা বাবান ঘোষকে সরশুনা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রেলের কমিটির সদস্য করে দেবে বলে বাবান প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে। অভিযোগ, বাবান টাকা নিলেও সেই কমিটির সদস্য করতে পারেনি অভিযোগকারী সন্তু মণ্ডলকে। এদিন বাবান ঘোষকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। তবে বাবানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আদালত চত্বরে এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীরা বাবান ঘোষের নামে ধ্বনিও দেয়। সূত্রের খবর, এই গ্রেফতারির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিজেপির জাতীয় কর্ম সিমিতির সদস্য মুকুল রায়েরও। জানা গিয়েছে, শুধু মুকুলই নয়, রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গেও বাবানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘শোভনদা তখন স্কুটারে ঘুরতেন, আমি সাইকেলে’, স্মৃতিমেদুর দিলীপ
বাবানের গ্রেফতারির পর কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন মুকুল রায়। উল্লেখ্য, গতকালই অন্য় একটি মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন মুকুল। তৃণমূলের একদা 'দু'নম্বর' এদিন বলেন, "আমার কাছেও অনেকে আসেন তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে। চাইলে আমিও তাঁদের দিয়ে দিল্লিতে মামলা করাতে পারতাম। কিন্তু আমি তা কখনও করি না। আমি রাজনৈতিক লড়াই করে নেব। আমার বিরুদ্ধে এর আগে ২৮টা মামলা হয়েছে। আর একটা যোগ হয়ে ২৯টা হবে।" প্রাক্তন 'তৃণমূল সেনাপতি'র বক্তব্য, "অহেতুক আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ২৮টা মামলা করে ৩৪ থেকে ২২-এ নেমেছে তৃণমূল। এবার বিধানসভায় ২০টা আসনও পাবে না। পরিস্কার যে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, রেলের যে কমিটির সদস্য করে দেবেন বলে মূলত অভিযোগ উঠেছে বাবানের বিরুদ্ধে, সেই কমিটিতে এ রাজ্য থেকে একমাত্র রয়েছেন তুষারকান্তি ঘোষ। বিজেপির ওই রাজ্য নেতা বলেন, "এটা অসম্ভব ব্যাপার। রেলের কমিটিতে কে থাকবে, কে থাকবে না, তা ঠিক করে দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। এ রাজ্যে শুধু আমি একাই রয়েছি কমিটিতে। সারা ভারতে চেয়ারম্য়ান-সহ ১৭ জন সদস্য রয়েছেন কমিটিতে। এখানে ভূরি ভূরি সদস্য করা যায় না। তবে আমি বাবান ঘোষের বিষয়টা জানি না।"