Advertisment

'ছত্রধর কেন এতদিন জেলে থাকল? জবাব দিক মমতা'

রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে একদা মমতা ঘনিষ্ঠ মুকুল বলেন, 'ছত্রধরের গ্রেফতার থেকে জামিন, সবটাই হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখে।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মুকুল রায়, ছত্রধর মাহাত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: শাহজাহান আলি

জঙ্গলমহলের জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো কেন এতদিন জেলে থাকলেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে তার জবাবাদিহি দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে একদা মমতা ঘনিষ্ঠ মুকুল বলেন, 'ছত্রধরের গ্রেফতার থেকে জামিনে মুক্তি, সবটাই হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখে।'

Advertisment

প্রায় ১১ বছর হাজতবাসের পর অবশেষে জামিন পেয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। তিনি যে লালগড়ে থেকেই তৃণমূলের হয়েই কাজ করবেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন এই নেতা। তারপরই গেরুয়া শিবিরের নেতার বিস্ফোরক মন্তব্য। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে।

শনিবার জামিনে মুক্তির পর রবিবারই ছত্রধর মাহাতো লালগড়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন। তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার ওইদিনই মেদিনীপুরে বসে ছত্রধরের গ্রেফতার ও জামিনের প্রসঙ্গে তৃণমূলকে জড়িয়ে বিতর্ক বাড়ালেন পোড় খাওয়া রাজনীতিক মুকুল রায়। এদিন তিনি বলেন, 'জঙ্গলমহলের ক্ষমতা দখলের জন্য ছত্রধর মাহাতোকে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ছত্রধর মাহাতো এতদিন ধরে জেলে কেন ছিল সেটাই বরং প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রাজনৈতিক স্বার্থে ছত্রধর মাহাতোকে ব্যবহার করা হয়েছে। জেলে পাঠানো থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া- সবটাই হয়েছে রাজনৈতিক কারণে।' এ প্রসঙ্গেই তিনি টেনে আনেন ছত্রধর মাহাতোর দাদার মৃত্যু রহস্যের কথা। মুকুল রায় বলেন, 'আমরা ছত্রধর মাহাতোর দাদা শশধর মাহাতোর মৃত্যুটাও জানি। সুচিত্রা মাহাতোর ঘটনাও জানি।'

আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়েই জঙ্গলমহলে কাজ করবেন জামিনে মুক্ত ছত্রধর

ছত্রধরের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, 'ছত্রধরের কাঁধে পা রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে প্রবেশ করেছিল। সরকার এখন ছত্রধরকে মুক্তি দিয়েছে, সরকারের আতিথেয়তা পেয়ে ছত্রধর কি মূল্য দেয় সেটাই দেখতে হবে।' প্রসঙ্গত, জানা যায়, জেলে থাকাকালীনই ছত্রধরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মুকুল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। তবে সেই আহ্ববানে সাড়া দেননি ছত্রধর। এদিকে লোকসভায় জঙ্গলমহলে ভাল ফল করেছে বিজেপি। জামিনে মুক্ত ছত্রধরকে দলে টেনে আদিবাসীদের মধ্যে গড়ে ওঠা গেরুয়া জনপ্রিয়তা ভাঙতে মরিয়া তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে তাই ছত্রধরের গ্রেফতার ও জামিনকে পুঁজি করেই জোড়া-ফুলকে বিঁধছেন পদ্ম শিবিরের নেতা মুকুল।

রবিবারই লালগড়ের বাড়ি ফিরেছেন ছত্রধর। তাঁকে ঘিরে স্থানীয়দের উচ্ছ্বাস দেখা যায়। তৃণমূলের উদ্যোগে বাইক মিছিল থেকে সংবর্ধনা, আয়োজন ছিল। ছত্রধরকে ঘিরে সেলফি তোলার জন্য তরুণ-তরুণীদের ভিড় জমে যায়। মানুষের আবেগে আপ্লুত জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন নেতা বলেন, ' তৃণমূলে হয়ে সরাসরি আমি কাজ করব কিনা সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। তবে, জঙ্গলমহলের মানুষ আগের মতই আমাকে গ্রহণ করলে খুশি হব। তাদের প্রয়োজনে ফের ঝাঁপিয়ে পড়বো। আমি যে স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম দিদি তার বেশিরভাগটাই করে ফেলেছেন। পাল্টে দিয়েছেন লালগড়কে।'

Mamata Banerjee west bengal politics mukul roy
Advertisment