মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের পরও শুভেন্দু ইস্যুতে হাল ছাড়তে নারাজ ছিল গেরুয়া শিবির। বুধবার বিকেলে সাংসদ সৌগত রায়কে শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটঅ্যাপ বার্তা প্রকাশ্যে আসতেই ফের যেন নতুন করে অক্সিজেন পেল পদ্ম বাহিনী।
এই প্রসঙ্গে দল ও শুভেন্দুর মধ্যে দৌত্যকারী তৃণমূল নেতৃত্বকে 'বুড়ো খোকা' বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানিয়ে দেন, 'বুড়ো খোকারা সামলানোর চেষ্টা করলেও যুবকরা তা শুনছেন না। বিচিত্র এই পার্টি। তবে শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে আসতে আগ্রাহী হলে স্বাগত।'
ঠিক কি বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জোড়া-ফুল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে বলেন, 'এটা তৃণমূলের ঘরোয়া বিষয়। তবুও দেখছি শুভেন্দুকে দলে টানতে বুড়ো খোকারা নেমেছেন। গত সাত দিন পর গত রাতে যাঁদের রক্তচাপ, সুগার কমে গিয়েছিল, আজ বিকেল থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বিচিত্র এই পার্টি। বুড়োরা সামলানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু যুবকরা তা শুনছেন না।' এরপরই তিনি বলেন, 'ওই দলে কাজের সুয়োগ নেই। শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে আসতে আগ্রাহী হলে স্বাগত।'
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে এক সঙ্গে কাজ করা মুশকিল। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যেয়র সঙ্গে তাঁর বৈঠকের নির্যাস সংবাদ মাধ্যমে আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে।
সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে শুভেন্দু অধিকারী সৌগতবাবুকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতের রফা বৈঠকেও তাঁর বক্তব্যের কোনও সমাধান হয়নি। তাঁর উপর সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত রাতের বৈঠক নিয়ে ৬ ডিসেম্বর শুভেন্দু বাবুর সাংবাদিক সম্মেলনের কথা ছিল। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, তার আগেই সংবাদ মাধ্যমকে সব জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন এমন হল? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। জানা গিয়েছে, এরপরই নাকি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় উল্লেখ, ‘এরকম চললে একসঙ্গে কাজ করাই মুশকিল। আমাকে ক্ষমা করবেন।’
শুভেন্দুর কথায় অন্য সুর ধরা পড়তেই অবশ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেছেন, 'শুভেন্দু গণ আন্দোলনের ফসল। ও সিদ্ধান্ত নিলে বিজেপি সব দিক দেখে নিশ্চই সিদ্ধান্ত নেবে।'
বিজেপির তরফে এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, 'বিজেপির দরজা ওর জন্য খোলা রয়েছে। এখন ওনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন