/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/mukul-mamata-759-new.jpg)
মুকুল রায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই একদা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন মুকুল রায়। আগমী বিধানসভা নির্বাচনে মমতার দলই উঠে যাবে, তৃণমূলের একদা 'প্রধান সৈনিকে'র মুখে এমন ভবিষ্যতবাণীই শোনা গেল। রবিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে নাম না করে মুকুল রায়কে কটাক্ষের সুরে মমতা বলেছেন, ‘‘গদ্দাররা আপনাকে (তৃণমূলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের) গদ্দারে পরিণত করবেন, মনে রাখবেন টাকা মাটি, মাটি টাকা’’। আবার কখনও মমতার গলায় শোনা গিয়েছে, ‘‘২ জনও যাচ্ছে না, বাড়ির সামনে প্যান্ডেল করে ২ হাজার লোক গিয়েছে বলে প্রচার করছে। ক’দিন গেল, আবার উল্টোরথ হয়ে গেল’’। এরপরই মমতা বলেন, ‘‘বিজেপিকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেখে নেবেন’’। তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন মন্তব্যের পাল্টা হিসেবেই এদিন মুকুল রায়ের এই জবাব।
আরও পড়ুন:‘মমতা পারছেন না, তাই তৃণমূল সভাপতি প্রশান্ত কিশোর’, বিস্ফোরক মুকুল
ঠিক কী বলেছেন মুকুল রায়?
সোমবার মুকুল বলেন, ‘‘কয়েকবছর ধরে বলেছেন বিজেপিকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেখবেন। নির্বাচনের পর হয়তো মনে হয়েছিল সম্বিৎ ফিরবে, এখনও ফেরেনি। অপেক্ষা করন আগামী একবছরের মধ্যেই বিধানসভা ভোটে এই দলটাই উঠে যাবে’’।
আরও পড়ুন:মমতার সরকার ভাঙার কোনও ইচ্ছে নেই: মুকুল রায়
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলে কার্যত ভাঙন ধরিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। একদা তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ডে'র হাত ধরেই একের পর এক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির উত্থানের নেপথ্যেও মুকুল রায়ের ‘বড়’ ভূমিকা রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। যেভাবে মমতার দলে ভাঙন ধরিয়েছেন মুকুল, তাতে নিজের ঘর বাঁচানোই এখন কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। সেই প্রেক্ষিতে ইদানিং প্রায়শই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। ক’দিন আগেই অবশ্য মুকুলের হাত ধরে বিজেপি-তে চলে যাওয়া কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পুরসভা তৃণমূল পুনরুদ্ধার করেছে। ফলে, খানিকটা আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার হয়েছে মমতা বাহিনীর। এই ঘটনার ফলে আবার বিজেপির দলীয় সমীকরণেও কিছুটা কোণঠাসা হয়েছেন মুকুল। তবুও মমতার আক্রমণের জবাব যে ভাষায় এদিন দিলেন মুকুল রায়, তাতে তিনি যে দমে যাওয়ার পাত্র নন, তা ফের প্রমাণ হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।