শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সপুত্র মুকুল রায়। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিলেন তিনি। শনিবার কাঁচড়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ই সংবাদ মাধ্যমকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বয়ং মুকুল রায়। বিজেপি ছাড়ার পরই ওই দিন বিকেল থেকেই এই তৃণমূল নেতার কাঁচড়াপাড়া ও সল্টলেকের বাড়ির সামনে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের থাকতে দেখা যাচ্ছে।
গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর পরই মুকুল রায়কে 'ওয়াই' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু একুশের বিধানসভার আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতির সুরক্ষাবলয় আরও পোক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মুকুলের সুরক্ষায় দেওয়া হয় 'জেড' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। অর্থাৎ ২৪ জন সিআইএসএফ জওয়ান ঘিরে থাকেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। শুভ্রাংশুর সুরক্ষায় রয়েছে 'ওয়াই' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন- দিলীপের বৈঠকে গরহাজির বনগাঁর তিন বিধায়ক ও সাংসদ, বিজেপিতে কলহ বাড়ছে
তবে, বিজেপি ছাড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই মুকুলের সুরক্ষায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকেই তাঁর কাঁচড়াপাড়া ও সল্টলেকের বাড়ির সামনে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের থাকতে দেখা যাচ্ছে। রয়েছে পুলিশ ভ্যানও। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের জন্য ইতিমধ্যেই সিআইএসএফ-র ডিজি-কে চিঠি দিয়েছেন মুকুল রায়। চিঠিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- “মুকুলবাবু কি বাচ্চা ছেলে যে ওনাকে ভয় দেখানো হবে”, মমতাকে খোঁচা জয়প্রকাশের
এ দিন মুকুল রায় বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছি।' তবে, সিআইএসএফ জওয়ানদের শনিবার সকালেও এই তৃণমূল নেতার সুরক্ষায় দেখা গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশও।
জানা গিয়েছে, মুকুল রায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়ার কথা বললেও কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানদের কাছে নতুন কোনও নির্দেশ পৌঁছোয়নি। তার ফলে আগের নির্দেশ অনুসারেই হেভিওয়েট এই রাজনীতিবিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে এখনও মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন