দিলীপ ঘোষের হয়ে সোচ্চার হলেন মুকুল রায়।এনআরসি নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের ‘অপব্যাখ্যা’ করা হচ্ছে বলে এবার তোপ দাগলেন মুকুল। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘আবারও বলছি, এনআরসি হবে না। দিলীপ ঘোষের কথার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এনআরসি নিয়ে আলোচনা হয়নি। অমিত শাহও বলেছেন এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। সিএএ হবে, এনআরসি হবে না’’। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তারাপীঠেও মুকুল বলেছিলেন, ‘‘এনআরসি হবে না’’।
এদিকে, বাংলায় এনআরসির হয়ে সওয়াল করতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘আমরা বলেছি প্রয়োজন হলে হবে। আমিই বলেছিলাম, আসামে যদি হয় তাহলে বাংলাতেও এনআরসি হোক। কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ হয়েছে। তবে এনআরসি কবে হবে, এ নিয়ে কথাই হয়নি। যখন দরকার হবে তখন নিশ্চয়ই এনআরসি হবে। যদি ৩৭০ হতে পারে, এটা হবে না কেন? আমরা চাই এনআরসি হোক’’। এই প্রেক্ষিতে এ ইস্যুতে মুকুলের মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ব্যাখ্যা পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
আরও পড়ুন: আমি বিজেপির প্রশান্ত কিশোর নই যে ওঁদের বার্তা দেব: বৈশাখী
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে এ নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ চলেছে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ ঘিরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রামলীলা ময়দানের সভায় মোদী বলেন, এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। যদি এনআরসি নিয়ে আলোচনাই না হয়ে থাকে তাহলে কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার এনআরসির হয়ে সওয়াল করেছেন, সে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে মোদীর এহেন মন্তব্য সামনে আসার পরই এ ইস্যুতে কার্যত ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ অবস্থা বিজেপি নেতাদের।
অন্যদিকে, বাংলায় পুরভোট ব্যালটে করার দাবি তুলেছে মমতা সরকার। এ প্রসঙ্গে এদিন মমতাকে বিঁধে মুকুল বলেন, ‘‘ইভিএমে ভোট করেই উনি (মমতা) তিনটি উপনির্বাচনে জিতেছেন। ঝাড়খণ্ডে নতুন সরকারের শপথে নাচতে নাচতে গিয়েছিলেন, সেখানেও ইভিএমে ভোট হয়েছিল। তাহলে বলুন না, ওখানে ইভিএমের জন্য বিজেপি হেরেছে! আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার কোনও স্থিরতা নেই’’।