/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/Mamata-mukul.jpg)
মুকুল বলেন, আমরা জানি, অন্য সভাগুলোর মতো এই ধর্নার জন্যও আমাদের অনুমতি মিলবে না।
কিছু চোর একত্র হয়ে চৌকিদারকে সরাতে বলছে। মমতার ডাকে জাতীয় স্তরের অবিজেপি দলগুলির শনিবারের ব্রিগেড সভার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই ভাষায় আক্রমণ হানলেন বিজপি নেতা মুকুল রায়। একদা তৃণমূলের দু' নম্বর মুকুল এদিন নিশানা করলেন তাঁরই প্রাক্তন দলনেত্রীকে। রবিবার সন্ধ্য়ায় রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায়ে ঠিক কী কী বললেন, দেখে নিন:
* এই সভা (শনিবারের ব্রিগেড) ভারতের কাছে বাংলাকে কলঙ্কিত করল। কিছু চোর একত্র হয়ে চৌকিদারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বলেছে।
* মমতার ব্রিগেডে এসেছিল রিজেক্টেড রাজনীতিকরা।
আরও পড়ুন- ‘মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট এসে গেছে’
* (শনিবারের ব্রিগেডকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করে) যখন সার্কাস চলে না, তখন দর্শকদের উৎসাহ বাড়াতে সাদা বাঘ দেখানো হবে বলে মাইকে ঘোষণা করা হয়। মমতার ব্রিগেড সার্কাসেও তেমন সাদা বাঘ দেখানো হল।
* দাবি করা হচ্ছে, শনিবার ব্রিগেডে উপস্থিত ছিল ২৩টি দল। কিন্তু, আদপে তা নয়। এসেছিল ১৩টি দল। রীতিমতো হাতের কর গুনে হিসাব কষে দেখিয়েছেন মুকুল।
* সর্বসাকুল্যে ২ লক্ষ মানুষ শনিবার ব্রিগেডে এসেছিলেন। তৃণমূল নিজেরা ফিড দিয়েছে, মিডিয়াকে ছবি তুলতে দেয়নি। নিজের মন্তব্যের সমর্থনে একটি ইংরেজি দৈনিকের ছবি দেখিয়েছেন মুকুল রায়। পাটীগণিতের হিসাব কষেও তিনি বলতে চেয়েছেন, মোটেই বেশি মানুষ আসেননি।
* যিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন গণতন্দ্র রক্ষা করবেন, তিনি নিজের রাজ্যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনেই গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- মমতার ব্রিগেডে সোনিয়ার বার্তা
* অখিলেশ যাদব, সতীশ মিশ্র, মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পঞ্চায়েতের চিত্র-সহ বাংলায় গণতন্ত্রের করুণ পরিস্থিতি দেখাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। রাজ্য সরকারের প্রোটোকল অফিসাররা আমাদের টেলিফোনই ধরেনি।
* জমা পড়া নথি অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তৃণমূলের বার্ষিক লেনদেন ৫কোটি ১৬ লাখ। এবার তৃণমূল বলুক কত খরচ হল শনিবারের ব্রিগেডে? এ সংক্রান্ত তথ্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছি।
* ৬-৮ জন বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক-সংসদ বিজেপি-তে যোগ দিতে প্রস্তুত, কিন্তু পুলিশি রাজের ভয়ে অপেক্ষা করছেন। নির্বাচন ঘোষণা হলেই তাঁরা তৃণমূল ছাড়বেন। উনি (মমতা) মাথা গুনে নিক।
আরও পড়ুন- দিদির ব্রিগেডে ‘হমারা শ্রীজাত’-সহ টেলিউড
* লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। ফলে তৃণমূল চতুর্থ-পঞ্চম বৃহত্তম দলও হবে না। মমতা নিজেও জানেন না যে তাঁর দলের আসন কুড়িরও কম হয়ে যাবে।
*২২ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি চলবে।