দু'বছর পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রবেশ করলেন মুকুল রায়। শুক্রবার বিধানসভায় ঢোকার সময় কর্মীরা মূল দরজায় তাঁকে স্বাগত জানানোয় তিনি দৃশ্যতই আপ্লুত। তবে দীর্ঘদিন পর বিধানসভায় প্রবেশ করেই মুকুল এমন মন্তব্য করলেন যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এদিন বিধনাসভার অধিবেশনে হাজির ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকতালীয়ভাবে এদিনই বিধানসভায় আসেন মুকুল। আর বিধানসভা চত্বরে এসেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে এক প্রকার বিজেপিতে যোগদানের 'আমন্ত্রণ' জানিয়ে বসলেন তাঁরই একদা 'প্রধান সেনাপতি'।
কী বলেছেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির এই সদস্য?
মুকুল রায় বলেন, "মমতা যদি আমার দলে আসতে চায়, নেব না কেন! তবে মুখ্যমন্ত্রী একই থাকবে, এর কোনও মানে নেই। যে কেউ যোগ দিতে পারেন। মমতা যদি ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি, আদর্শ বিশ্বাস করে যোগ দিতে চায়, যোগ দেবে। কেন যোগ দেবে না!"
এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার ঘরে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন মুকুল রায়। তবে মুকুলবাবু কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি বলেন, "তৃণমূল বিধায়করা কী করছেন? মন্ত্রীরা আড়ালে আবডালে কী বলছেন? কতদিন সরকারটা থাকবে সেটাই দেখার।"
প্রসঙ্গত, ২৮ অগাস্ট মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে নাম না করে মুকুল রায়কে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছিলেন, "১০৭ কেন, ৭ করে দেখা। অত সোজা নয়।" উল্লেখ্য, মুকুল রায় দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে ১০৭ জন বিধায়ক বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করেছেন। সে প্রসঙ্গেই সেদিন কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। তবে এদিন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকেই দল বদল করে বিজেপি-তে যোগদানের 'আমন্ত্রণ' জানিয়ে পাল্টা বিঁধলেন মুকুল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, নারদকাণ্ডে তৃণমূলের ১০ সাংসদ ও বিধায়ককে তলব করেছে সিবিআই। তবে এই তালিকায় এবার মুকুল রায় নেই। মুকুলের দাবি, "আমার সঙ্গে অন্য়দের মেলালে সেটা ভুল হবে। তাছাড়া, আমি চুরি করিনি। আমার কোনও ভয় নেই। চুরি করলে ভয় পাবে। অসঙ্গতি থাকলে ভয় পাবে।"