সিঙ্গপুরের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতায় সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় কংগ্রেস সাসদ শশী থারুর। সিঙ্গাপুরের মতো বন্ধু দেশের রাষ্ট্রদূতকে তাঁদের নিজস্ব সংসদে তাঁদেরই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে তলব করা অপ্রীতিকর বলে মনে করেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। কেন্দ্রকে বিঁধে তাঁর কটাক্ষ, ''আমাদের চামড়া পাতলা করা শিখতে হবে।"
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর সংসদে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং বলেন, ''নেহরুর ভারত এখন এমন হয়ে উঠেছে যে মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, ভারতের লোকসভার প্রায় অর্ধেক সাংসদের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ-সহ ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। যদিও এটাও বলা হয়, যে এই সব অভিযোগের বেশিরভাগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।''
ভারত সম্পর্কে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পাল্টা পদক্ষেপ করতেও দেরি করেনি বিদেশ মন্ত্রক। ক্ষুব্ধ দিল্লি তড়িঘড়ি এদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। ''সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য অযাচিত'', বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ‘সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য অযাচিত’, রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সাফ জানাল দিল্লি
বন্ধু দেশের বিরুদ্ধে ভারতের এমন পদক্ষেপের সমালোনায় সরব কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। টুইটে প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ''MEA সিঙ্গাপুরের মতো বন্ধু দেশকে তাঁদের নিজস্ব সংসদে তাঁদেরই প্রধানমন্ত্রীর কিছু মন্তব্যের জন্য তলব করল, এটা সবচেয়ে অপ্রীতিকর। তিনি (লি সিয়েন লুং) সাধারণ একটি ধারণা তৈরি করছিলেন। আমাদের গায়ের চামড়া পাতলা করতে শিখতে হবে!''
এবিষয়ে অপর একটি টুইটে প্রবীণ এই কংগ্রেস সাংসদ আরও লিখেছেন, ''আমাদের একটি বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিতে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য শুনেছি। তবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বা বিদেশের সংসদে বিতর্কের বিষয়ে আমরা মন্তব্য করি না। সবাইকে একই নীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানাই।' এমন পদক্ষেপ করা হলে বিষয়টি অনেক বেশি কার্যকর হতো এবং কম আক্রমণাত্মক হতো।"
Read story in English