কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে ক্ষমতাসীন বিজেপি পরাজিত হয়েছে। তাই দেখে বেজায় খুশি মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)। এককথায় কর্ণাটকের ফলাফলে এই জোট রীতিমতো উজ্জীবিত। পাশের রাজ্য কর্ণাটক। সেখানেও মহারাষ্ট্রের মতই ক্ষমতাসীন শাসক জোট ভেঙে ক্ষমতা হাতিয়েছে গেরুয়া শিবির। তারই উচিত শিক্ষা মিলেছে ২০২৩-এর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে। কর্ণাটক পারলে মহারাষ্ট্র পারবে না কেন? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই এবার নীতিগতভাবে একনাথ শিণ্ডে-দেবেন্দ্র ফড়নবিশদের একসঙ্গে শিক্ষা দিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান এমভিএ নেতৃত্ব। কারণ, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেই লোকসভা নির্বাচন। আবার, ওই বছরই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনও।
আর তাই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোতে না-বেরোতেই আসন ভাগাভাগিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এমভিএ নেতৃত্ব। এনসিপি সুপ্রিমো তথা এমভিএর আহ্বায়ক শরদ পাওয়ারের বাড়িতে তাঁরা বৈঠক করেছে। উপস্থিত ছিলেন উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি), এনসিপি এবং কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতৃত্ব। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাদের আসন ভাগাভাগির সূত্রটি ঐক্যমতের সাথে তৈরি করতে প্রতিটি অংশীদার থেকে দুজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন- কুর্সির দাবিদার! বেঙ্গালুরু থেকে ঘনঘন দিল্লি দৌড়চ্ছেন শিবকুমার-সিদ্দারা
যাইহোক, এমভিএ-র সামনে আসল চ্যালেঞ্জ হল তার নেতৃত্বের জনগণের আস্থা অর্জন। আর, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি। কারণ, মতাদর্শগত পার্থক্যের পরও এমভিএ শরিকরা একে অপরের হাত ধরেছেন। কিন্তু, সেই নেতাদের পরস্পরের প্রতি ঠিক কতটা আস্থা আছে, তা এখনও প্রমাণিত নয়। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রজুড়ে শিন্দে সেনা-বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ 'বজ্রমুঠ (লোহার মুষ্টি)' সমাবেশ করার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে, এমভিএ শরিকরা এপ্রিল থেকে এই জাতীয় তিনটি সমাবেশ করেছে - শম্ভাজিনগর, নাগপুর এবং মুম্বইয়ে। যেখানে তাদের ঐক্যের প্রদর্শনে উদ্ধবের সেনা (ইউবিটি) এমভিএ-এর প্রধান নেতা হিসাবে উদ্ধব ঠাকরেকে তুলে ধরার চেষ্টা করায় এমভিএর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছে।