ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সভাপতি শরদ পাওয়ার অজিত পাওয়ারের অবসরের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে ‘তিনি ৮২ বছর বয়সেও দলের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সামলাতে পারেন। দলের কর্মীরা বহুবার দলের রাশ তাঁর হাতে রাখার অনুরোধ করেছিলেন’।
অজিত পাওয়ার দিন কয়েক আগেই কাকা শরদ পাওয়ারের অবসর প্রসঙ্গে এক মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতেও অবসরের একটা বয়স থাকে। ২৫ থেকে ৭৫ এটাই রাজনীতিতে টিকে থাকার আদর্শ সময়। শরদ পাওয়ার এখন ৮২, কবে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবে্ন’?
অজিত পাওয়ার আরও বলেন, কাকার অবসর নেওয়ার এবং এনসিপির লাগাম তার হাতে তুলে দেওয়ার সময় এসেছে। অজিত পাওয়ার শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গত সপ্তাহে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারে যোগদান করেন। এরপরই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে মহাসংকট তৈরি হয়। এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের কথা বলার সময়, ‘শরদ পাওয়ার জোর দিয়ে বলেন, ‘বয়স হলেও এখনও তিনি বৃদ্ধ নন’ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সুরে শরদ পাওয়ার বলেন, "আমি ক্লান্তও নই হু, অবসরপ্রাপ্তও নয়"।
এনসিপি সুপ্রিমো বলেছেন যে তিনি দলের জন্য কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, "তারা কে আমাকে অবসর নিতে বলবে? আমি এখনও সুস্থ, সবল," । শরদ পাওয়ার অভিযোগ করেছেন যে অজিত পাওয়ার এবং প্রফুল্ল প্যাটেল এবং ছগান ভুজবলের মতো নেতারা যে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন তা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্দেশেই।
এনসিপি সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে দলের নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল অভিযোগ করেছেন যে তিনি মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের ওপর দলের রাশ তুলে দেন। সেখানে অজিত পাওয়ারের মত নেতাকে ব্রাত্য করা হয়। অভিযোগের জবাবে, শরদ পাওয়ার বলেন, অজিতকে চারবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল এবং তাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনে হেরে গেলেও প্রফুল্ল প্যাটেলকে ইউপিএ-তে মন্ত্রী করা হয়েছিল। ইউপিএ-তে পিএ সাংমার মেয়েকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছিল। সুপ্রিয়া (সুলে) এখনও সেই সুযোগ পাননি। কীভাবে একথা তিনি বলছেন? এটা ভুল'।