প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএকে সরাতে এবার লড়াইয়ে নামবে ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার বিরোধীদের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বেঙ্গালুরুতে ইউপিএর নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইউপিএর নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া। যার মধ্যে আই অক্ষরটি ইন্ডিয়ান, এন অক্ষরটি ন্যাশনাল, ডি অক্ষর ডেমোক্রেটিক, আই এর অর্থ ইনক্লুসিভ এবং শেষের এ অক্ষরের অর্থ অ্যালায়েন্স রাখা হয়েছে।
Advertisment
বিরোধী দলগুলোর দাবি, তারা দেশের স্বার্থে লড়াই করছে। দেশের সংবিধান বাঁচাতে, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সেই জন্যই ইউপিএর নাম বদলানো হল। যেই সিদ্ধান্তকে রীতিমতো তারিফ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এই বৈঠক অত্যন্ত গঠনমূলক ছিল। এই সিদ্ধান্ত দেশবাসীর জন্য সদর্থক হতে চলেছে।
বৈঠকে আম আদমি পার্টির সর্বভারতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ১০ বছর ধরে দেশ শাসন করেছেন। তিনি আচ্ছে দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই আচ্ছে দিন তো দূর। প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই শাসনকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছেন। দেশের কাঠামোকে ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছেন। দেশবাসীর মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো আরও অভিযোগ করেছেন যে, মোদী জমানায় দেশে বেকারত্ব লাফিয়ে বেড়েছে। কার্যত নরেন্দ্র মোদীর শাসনকাল দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তার জেরেই বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। আর, বেকারত্বের লাগামছাড়া বৃদ্ধি হল তারই ফল। কেজরিওয়াল জানান, গোটা দেশ এই অপশাসন থেকে এখন মুক্তি পেতে চায়। সেই মুক্তির জন্যই গোটা দেশের এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।
বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্পষ্ট করে দেন যে, বিরোধীরা দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে প্রস্তুত। তাদের মধ্য়ে বিভিন্ন রাজ্য়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু, সেই পার্থক্য এতটাও বেশি নয় যে জনস্বার্থে বা দেশ বাঁচাতে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না।