বঙ্গ রাজনীতির তরজার কেন্দ্র এখন নন্দীগ্রাম। বাম আমলে জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বের প্রশ্নে জোর টক্কর তৃণমূল ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই আবহেই আজ নন্দীগ্রামে বিজেপির শক্তি প্রদর্শনের সভা রয়েছে। লক্ষাধিক জনসমাগমের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর ফের তিনি সভা করবেন কিনা এদিন তারও বড় ঘোষণা করতে পারেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু।
শহিদ স্মরণকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখান থেকেই তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন তিনি। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রকৃত নেতৃত্বদানের দাবি করে শুভেন্দু জানান, 'বিগত দিনগুলিতে অনেকে আসেননি আগামি দিনেও আসবেন না। এ বছর বিধানসভা নির্বাচন। অনেকের অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আমি কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এখানে আসিনি। সাধারণের একজন হিসেবে এসেছি।'
তবে, বুধবার নন্দীগ্রামে বিজেপির রাজনৈতিক জনসভা হবে। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও থাকবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি মুকুল রায়, দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এক বছর আগে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়তেই সভা করতে যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু একদা বিরোধী সেই শুভেন্দুর হাত ধরে আজ ফের নন্দীগ্রামেই দিলীপ ঘোষেরউজ্জবল উপস্থিতি চোখে পড়বে।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিতেই ৭ই মার্চ শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে সভার ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। খোদ দলনেত্রী সেই সভায় হাডজির থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়। এই সভার মূল আয়োজক রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তা বাতিল বলে জানায় রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১৮ জানুয়ারি ফের নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সভা বাতিল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, 'এক নেত্রী বলেছিলেন মহাসমাবেশে আসব, এখন পগারপার। আবার বলছে ১৮ তারিখ সভা রয়েছে। তারপর ফের আসব। কী করব ৮ তারিখের জনসভা থেকে ঘোষণা করব।' অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রীর সভা, পাল্টা গেরুয়া শিবিরের জনসভা ঘিরে ফের রাজনৈতিক উত্তাপ যে এখন নন্দীগ্রামে থকবে তা বলাই বাহুল্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন