নারদকাণ্ডে ফের নড়েচড়ে বসল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। সূত্রের খবর, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত বাকিদের নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, নারদ স্টিং অপারেশনে যাদের দেখা গিয়েছে তাদের ৭ বছরের আয়-ব্য়য় ও সম্পত্তির হিসেব চেয়েছে ইডি। নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, আইপিএস এসএমএইচ মির্জা, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ইকবাল আহেমদ। ওই নোটিশে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম না থাকলেও মুকুল রায়ের নাম থাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- প্রশান্ত কিশোরের “দিদিকে বলো” কে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে “বাপ কে বলো”
২০১৬ সালে নারদ স্টিং অপারেশন সম্প্রচারিত হয়। তা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এই অপারেশনে তৃণমূল কংগ্রেসর ১৩ জন প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী ও একজন আইপিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পরবর্তীতে মুকুল রায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেয়। বাকিরা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। তার মধ্যে সুলতান আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই দাবি করে এসেছে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকেই ইডি ও সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। তাই একাধিকবার দলের নেতাদের তলব করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসতে কংগ্রেস নেতাকেই ভরসা করছে?
জানা গিয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় ৭ বছরের আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির হিসেব ইডির কাছে জমা দিয়েছেন। তাই এবারে তলবের তালিকায় তাঁর নাম নেই। চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে বাকিদের এই হিসেব জমা দেওয়ার কথা বলেছে ইডি। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত সিবিআই গ্রেফতার করেছে এসএমএইচ মির্জাকে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে, সারদা কাণ্ডে আইপিএস রাজীব কুমারকে নানা জটিলতায় গ্রেপ্তার করতে পারেনি সিবিআই। এই নিয়ে বারে বারে আদালতে মামলার শুনানি হয়েছে। গ্রেফতারি আটকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় ধরনায় বসেছেন। নারদকাণ্ডে মির্জাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন- দিলীপ-মুকুলের পরস্পর বিরোধী অবস্থান কি বাংলায় পদ্ম ফোটাতে বাধা?
সামনেই এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই অভিযোগ করে এসেছে, কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে তাঁদের নেতৃত্বকে হেনস্থা করছে। সূত্রের খবর, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই চার্জশিট পেশ করা হবে সারদা মামলার। তার আগে ফের নারদ তদন্ত গতি পাচ্ছে। এই তদন্তের গতি আদৌ কতটা বৃদ্ধি পায় সেটাই এখন দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন