/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/modi-4.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০২৪-এর পথ মসৃণ নয় মোটেই। শুধু হিন্দু-হিন্দুত্বের ভরে বিজয়রথ ছুটবে না। তাই এবার অন্য ধর্মের মানুষের কাছেও পৌঁছনোর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে চব্বিশের মূলমন্ত্র বেঁধে দিলেন মোদী। হিন্দু ছাড়াও অন্য ধর্মের নির্যাতিত, শোষিতদের কাছে পৌঁছতে বললেন দলীয় পদাধিকারীদের। সেই সঙ্গে দেশ থেকে বিরোধীদের পরিবারতন্ত্র, জাতপাত এবং তোষণের রাজনীতিকে সমূলে উৎখাত করার ডাক দিলেন তিনি।
দলের এক শীর্ষ নেতা সূত্রে খবর, "মোদী বলেছেন, অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যেই দুস্থ-শোষিত মানুষ রয়েছেন। আমাদের শুধু হিন্দুদের মধ্যেই আটকে থাকলে চলবে না। আমাদের এঁদের জন্যেও কাজ করতে হবে।" প্রসঙ্গত, আজমগড় এবং রামপুরের মতো মুসলিম অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয় বিজেপির রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছে। হিন্দুরাই যে শুধু ভোট দিচ্ছে তা নয়, মুসলিমরাও এখন ভেদাভেদ ভুলে কাছে আসছে, তা বুঝতে পেরেছে গেরুয়া শিবির।
With Party colleagues at the National Executive meeting in Hyderabad. @BJP4Indiapic.twitter.com/pbDFz3zn7f
— Narendra Modi (@narendramodi) July 2, 2022
বৈঠক উপস্থিত এক নেতা জানিয়েছেন, অতীতেও বিজেপি অন্য ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছতে চেষ্টা করেছে। আর বর্তমানে তার ফল পেয়েছে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনেও। গত মে মাসে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফেরার পর পাসমান্দা মুসলিম সম্প্রদায়ের দানিশ আজাদকে যোগী মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়াই এর বড় প্রমাণ।
আরও পড়ুন বিজেপি সাংসদ এখন তৃণমূলে, তবে ভাটপাড়া রয়েছে ভাটপাড়াতেই
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এর কারণ বিজেপি এখন এমন জায়গাগুলিতে নজর দিচ্ছে যেখানে আগে পদ্ম ফোটানো সম্ভব হয়নি। ভোটবাক্সে বিজেপির পরিশ্রম মাঠে মারা গেছে। গত বছরও একই ভাবে মোদী দলের সাধারণ সম্পাদকদের হিন্দু ব্যতীত অন্য ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছনোর নির্দেশ দেন। তিনি উপদেশ দেন, দলের উচিত কেরলে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের কাছে টানা, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বেশ কিছু কথা বলেছেন। উত্তর-পূর্বে বিকাশের পথে চলতে বলেছেন, তিনি এও বলেছেন, দলের কর্মীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর বার্তা তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার।"