সভা চলাকালীন হইহট্টগোলের অভিযোগে মঙ্গলবার মোট ১৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এঁদের মধ্যে সাত জন তৃণমূলের। সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, দোলা সেন এবং শান্তনু সেন, শান্ত ছেত্রী, নাদিমূল হক, অবীররঞ্জন বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। সাসপেন্ডের তালিকায় রয়েছেন ডিএমকে, সিপিআইএম সাংসদরাও। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা আর রাজ্যসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন না।
ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি, কেন্দ্রের জনবিরোদী নীতি ও আইনের প্রতিবাদে এ দিন রাজ্যসভায় লাগাতার স্লোগান দিচ্ছিলেন তৃণমূল সহ বিরোধী একাধিক দলের সাংসদ। ওয়ালে নেমেও বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যার বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিরোধী সাংসদদের এই আচরণকে ‘নিয়ম বিরুদ্ধ’ বলে জানানো হয়েছে।
একই অভিযোগে সোমবার লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। বাদল অধিবেশনের গোটা পর্বেই এই সাংসদরা বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন না।
চলতি অধিবেশনের আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়ে নির্দেশিকা জারি করে বেশ কয়েকটি শব্দ সভায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিষেদাজ্ঞা জারি করেন। সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না প্রদর্শনও বন্ধ করা হয়। যার প্রতিবাদে মুখর বিরোধী দলগুলি। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উভয় কক্ষেই হট্টগোল চলছে। ফলে বারে বারে বাধা পেয়েছে অধিবেশন। নিষেধাজ্ঞা জারির পরও মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরা মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না দেখিয়েছেন।
তৃণমূলের রাজ্য নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায়ের দাবি, 'আগে বলেছিল কংগ্রেসমুক্ত ভারত। এবার বিজেপির লক্ষ্য বিরোধী মুক্ত দেশ। ওরা এসব করে বিরোদীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। যদিও তৃণমূলকে এভাবে ঠেকানো যাবে না।'