উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম প্রধান মুখের ভোট ভাগ্যের পরীক্ষা হয়ে গেল রবিবার। মইনপুরী জেলার কারহালে প্রার্থী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ সিং যাদব। এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিমুখী। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার অন্য কেন্দ্রগুলোয় প্রার্থীর সংখ্যাটা বেশ লম্বা। সেদিক দিয়ে কারহাল বেশ ভাগ্যবান। গোটা উত্তরপ্রদেশের মধ্যে এই কেন্দ্রেই প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম।
অন্যদিকে গোরক্ষপুর শহর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর কেন্দ্রে ভোট ষষ্ঠ দফায়, ৩ মার্চ। এই কেন্দ্রে প্রার্থীসংখ্যা ১৩। গোরক্ষপুরের পাঁচ বারের সাংসদ যোগী। বর্তমানে তিনি বিধান পরিষদের সদস্য। বিধায়ক না-হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলাচ্ছেন। আর, অখিলেশ! আদিত্যনাথকে এই ব্যাপারে রীতিমতো টক্কর দিতে পারেন। তিনিও চার বারের সাংসদ। তিনিও বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য।
শুধু যোগী এবং অখিলেশই না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর তালিকায় আছেন প্রবীণ রাজনৈতিক চরিত্র মায়াবতীও। তিনি অবশ্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে, তাঁর দল বহুজন সমাজ পার্টি ক্ষমতার কাছাকাছি এলে, তখন তিনি আসরে নামবেন। বিধান পরিষদের সদস্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি সামলাবেন। এই তিন দল এবং জোটের কথা বলা গেলেও, কংগ্রেসের ব্যাপারটা অবশ্য এখনও ধোঁয়াশায়। তারা এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। জিতলে, ঠিক করবে।
আরও পড়ুন তৃতীয় দফায় আজ উত্তর প্রদেশের ৫৯ কেন্দ্রে নির্বাচন, ভোটগ্রহণ পঞ্জাবেও
এর মধ্যে রবিবার কারহালের দিকেই সবার নজর ছিল বেশি। অবশ্যই অখিলেশের জন্য। তবে, শুধু সেই কারণেই না। কারহালে গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে প্রচার তুঙ্গে উঠেছিল, অঘোষিত যুদ্ধ মনে হওয়াই স্বাভাবিক। এই কেন্দ্রে অখিলেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এসপি সিং বাঘেল। আগরার তপশিলি জাতিভুক্ত সাংসদ এস পি সিং- কে বিজেপি কারহালে প্রার্থী করেছে স্রেফ অখিলেশকে শিক্ষা দিতে।
বহুজন সমাজ পার্টি অবশ্য কুলদীপ নারায়ণকে প্রার্থী করেছে স্রেফ ভোট কাটার জন্য। কুলদীপ নারায়ণও তপশিলি জাতিভুক্ত। জাতপাতের রাজনীতির উত্তরপ্রদেশে কুলদীপ ভোট কাটবেন বাঘেলের। এমনই আশঙ্কা করছে বিজেপি। আর, এই কারণেই তারা প্রকাশ্যে জোট না-হলেও বুয়া-ভাতিজা রাজনীতির অভিযোগ করছে।