শাখার বদলে শাখা। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কায়দায় উত্তরপ্রদেশের গলি থেকে মহল্লা, সর্বত্র শাখা তৈরি করতে চলেছে আম আদমি পাটি। জুলাই থেকেই দেখা যাবে এই দৃশ্য। আপ এই শাখার নাম দিচ্ছে 'তিরঙ্গা শাখা'। মাঠে এবং মহল্লায় নারী-পুরুষ সমবেত হবেন। সংবিধানের প্রস্তাবনাটি জোরে জোরে পড়বেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের আইকনদের গল্প শোনাবেন। জাতীয়তাবাদের ভাবনায় মুদ্রাস্ফীতি থেকে বেকারত্বের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন।
সংঘ পরিবারের মতো আম আদমি পার্টিও জাতীয়তাবাদী। তবে, আম আদমি পার্টি, সংঘ পরিবারের মতো হিন্দুত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয়তাবাদী নয়। দেশের সংবিধানের দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয়তাবাদী। সেই কারণেই আপ নেতারা বলছেন, তাঁদের এই শাখা তৈরির ধারণাটি প্রকৃত রাষ্ট্রবাদ বা প্রকৃত জাতীয়তাবাদের সঙ্গে খাপ খায়। যাকে সামনে রেখে চলবে আম আদমি পার্টির প্রচার। সেখানে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল, জাতীয় পতাকা নিয়ে আলোচনা, দিল্লিজুড়ে বহুতলগুলোয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্কুলগুলোয় দেশভক্তির পাঠ্যক্রম চালু করা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো সমস্যা নিয়ে আলোচনা তাদের কর্মসূচিতে থাকবে।
আরও পড়ুন- মসজিদে লাউডস্পিকার বিতর্ক, রাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত মহারাষ্ট্র পুলিশ
তাদের এই 'তিরঙ্গা শাখা' যাতে আরএসএসের শাখাগুলোর সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিতে পারে, সেজন্য শাখাভিত্তিক সংগঠন তৈরি হবে। যেখানে আরএসএসের কায়দায় শাখার নেতাকে 'প্রমুখ' বলে ডাকা হবে। শাখার বৈঠকে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হবে। আরএসএসের কায়দায় গৈরিক ধ্বজ উত্তোলন করা হবে না। কেন আম আদমি পার্টি দলের পতাকা না-তুলে, 'তিরঙ্গা শাখা'য় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা-ও ব্যাখ্যা করা হবে প্রতিটি 'তিরঙ্গা শাখা'র কর্মসূচিতে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে এই 'তিরঙ্গা শাখা' তৈরির পিছনে মূল মস্তিষ্ক দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, 'আমি ১ জুলাই লখনউয়ে এই ধরনের প্রথম তিরঙ্গা শাখা চালু করব। আমাদের শাখাগুলো প্রতিটি লিঙ্গ, প্রতিটি সম্প্রদায়, প্রতিটি বর্ণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশুরাও এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে।'
গোটা দেশে আরএসএসের দৈনিক শাখাগুলোয়, ৬৫ হাজারেরও বেশি গৈরিক ধ্বজ ওডা়নো হয়। এখানে স্বেচ্ছাসেবকরা স্তোত্রের মাধ্যমে একটি 'ধ্বজ প্রণাম' করেন। এর পরে, একজন ' বৌদ্ধিক প্রধান'-এর তত্ত্বাবধানে, স্বেচ্ছাসেবীরা সামাজিক বিষয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন। তার আগে একজন 'শারীরিক প্রধান' সদস্যদের সুস্থতার জন্য শারীরিক অনুশীলনে নেতৃত্ব দেন। কর্মসূচি শেষের পর 'ধ্বজ' বা পতাকা দণ্ড থেকে নামিয়ে নিরাপদে দূরত্বে রাখা হয়।
Read story in English