/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/Adhir-express-regret.jpg)
'রাষ্ট্রপত্নী' বিতর্কে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। চিঠি পাঠিয়ে জানালেন, কথাটা তাঁর 'মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে'। চিঠিতে অধীর লিখেছেন, 'আপনি যে পদে রয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমি একটি ভুল শব্দ বলে ফেলেছি। আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে এটা মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে। আমি আপনার কাছে এজন্য ক্ষমা চাইছি।' তবে, বিজেপি নেতৃত্বের দাবিমতো কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী কোনও ক্ষমা চাননি। বৃহস্পতিবার এনিয়ে সাংবাদিকরা সোনিয়া গান্ধীকে প্রশ্ন করলে তিনি রাগের সুরে জানান, 'ক্ষমা চাওয়া হয়ে গিয়েছে।'
শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে এই চিঠি পাঠানোর আগে বৃহস্পতিবারও একই কথা বলেছিলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর কথা মানতে চাননি। তাঁরা অধীর চৌধুরী এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে এজন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। এক ভিডিওতে শোনা গিয়েছে অধীর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে সম্বোধন করছেন। তারপরই লোকসভায় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও রাজ্যসভায় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তীব্র প্রতিবাদ জানান। সীতারামন অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি বলে সম্বোধন একটি 'যৌন অবমাননা'। কারণ, 'রাষ্ট্রপতি একটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ শব্দ।'
আরও পড়ুন- ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্ক, কীভাবে সম্বোধন করা উচিত রাষ্ট্রপতিকে
প্রবল চাপের মুখে অধীর নিজের ভুল স্বীকার করে নেন। জানান, তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্ব তাতে শান্ত হয়নি। মধ্যপ্রদেশে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরা। অধীরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় মধ্যপ্রদেশ মহিলা কমিশন। তবে, তিনি বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ক্ষমা চাইবেন না-বলেই অধীর জানান। তিনি বলেন, 'আমি এই সব পাপীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করব না।' কিন্তু, বিজেপির মহিলা নেতৃত্বের প্রবল চাপে একসময় প্রায় একা হয়ে পড়েন অধীর। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিন।'
Read full story in English