সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা। একচেটিয়া আধিপত্য বিজেপির। কিন্তু, দলীয় সাংসদদের সংসদের বিতর্কে বা স্থায়ী কমিটির আলোচনায় অংশগ্রহণে অনীহা স্পষ্ট। প্রায়ই গড়হাজির থাকেন বিজেপি সাংসদরা। যা নিয়ে বেশ কয়েকবার উষ্মাও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। দীনদয়াল উপাধ্যা মার্গের নেতৃত্ব সাংসদদের এই প্রবণতা রোধে বেশকিছু পদক্ষেপও করেছিল। যদিও তাতে লাভ হয়নি। পদ্ম সাংসদদের মনোভাবে বদল ঘটেনি। বিষয়টি বেশ কঠিন বলেই মনে করছে দল। কিন্তু, হাল ছাড়তে নারাজ কেন্দ্রীয় শাসক দল। আসন্ন অধিবেশনে সাংসদদের উপর কড়া নজরদারি চালাতে কোমর বাঁধছে বিজেপি নেতৃত্ব।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হোক বা সদস্য পদ- সবেতেই গেরুয়া সাংসদদের সংখ্যা বেশি। কমিটি বৈঠকে কতজন বিজেপি সাংসদ সদস্য হাজির হচ্ছেন তার উপর নজর রাখতে নির্দেশ এসেছে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে। আগে থেকে বলে-কয়ে নয়, অতর্কিতে উপস্থিতির হার দেখতে বলা হয়েছে। আগামী নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। শুরু থেকেই সাংসদদের হাজিরার উপর খেয়াল রাথকে বলা হয়েছে উভয় কক্ষের দলীয় হুইপদের।
বিজেপির এই উদ্যোগকে অভশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস। হাত শিবিরের সাংসদ শশী থারুর শুক্রবার নিউজিল্যান্ড, সুইডেন এবং রুয়ান্ডার পার্লামেন্টে পুরুষদের তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মহিলা আইন প্রণেতাদের বিষয়ে একটি টুইট পোস্ট করেছেন। সেখানে লেখা, 'আমাদের বিজেপি সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল (যা ইউপিএ রাজ্যসভায় পাস করতে পেরেছিল) বিতর্কের জন্য লোকসভায় কিছুতেই আনবে না!'
এ বিষয়ে তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছেন, 'যদি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রত্যয় থাকে, তাহলে তার সাংসদের এক-তৃতীয়াংশ মহিলা হতেই পারে, এমনকী সেটা মহিলা সংরক্ষণ বিল ছাড়াই৷ হ্যাঁ, বিল পাস করার জন্য আসুন একসঙ্গে কাজ করি। সংসদে তৃণমূলের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সাংসদই মহিলা। আমরা শুধু ইচ্ছার কথা বলি না, প্রথমে সেটা করে দেখাই।'