তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম-কে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে এক লাফে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি করল বিজেপি। ৪ থেকে বেড়ে পদ্ম বাহিনীর আসন সংখ্যা এখন ৪৮। যা তেলেঙ্গানায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের কাছে বাড়তি উৎসাহের। আপাতত তাই শাহ-নাড্ডাদের নজরে এই দক্ষিণী রাজ্যটি।
গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সাফল্যকে দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষের রায় বলেই তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। দলের শক্তি ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় একই সঙ্গে প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে যে, তেলেঙ্গানায় বিকল্প গেরুয়া শিবিরই।
উল্লেখ্য, জিএইচএমসি-র মোট আসন সংখ্যা ১৫০। ম্যাজিক ফিগার ৭৬। গতবার টিআরএস যেখানে ৯৯টি আসন পেয়েছিল, সেখানে এবার তাদের আসন একধাক্কায় প্রায় অর্ধেক হয়ে গেল। ৫৫টি আসন পেয়ে তারা। আগেরবারের মতোই ফল করেছে মিম। গতবার তারা ৪৪টি আসন পেয়েছিল, এবারও তারা একই সংখ্যক আসন পেয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ২টি আসন।
বিহার জয়ের পর নিজামের শহর হায়দ্রাবাদের নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপায় বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী বাদে বিজেপি-র সব তারকা প্রচারক- অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং যোগী আদিত্যনাথ পুরসভার এই ভোটে প্রচার করেছিলেন। আর তাতেই সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি আশাবাদী, কর্নাটকের পর দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যেই তাঁদের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তেলঙ্গানার বিজেপি সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুশাসন ও উন্নয়নের প্রতি হায়দ্রাবাদের মানুষ আস্থাশীল। ১০ নভেম্বর দুব্বাকার উপনির্বাচনে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের আত্মীয় টি হরিশ রাওকে হারিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এরপর জিএইচএমসি-র ভোটের ফল মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে কে টি রামা রাওয়ের কাছে আরও বড় পরাজয়। টিআরএস সরকার তেলঙ্গানার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। কেসিআর ও টিআরএস জনসমর্থন হারিয়েছে। বিজেপি-র এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।’
তেলেঙ্গানার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির দাবি, মিমের সঙ্গে টিআরএস সমঝোতা না করলে বিজেপির আসন আরও বাড়ত।
ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট যে, মূল হায়দ্রাবাদ শহরের বাইরে প্রযুক্তিবিদ, শহর থেকে সামান্য বাইরে বেরিয়া আসা মধ্যবিত্তদের মধ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। ফলে সার্বির উন্নয়ের কথা বলে নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংককেই টার্গেট করছে পদ্ম শিবির।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন