গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা বিরোধী দল কংগ্রেসের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যেই কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দল ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল। বুধবার টুইট করে গুজরাত কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি পদ এবং প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন হার্দিক। আগেই দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার জল্পনা সত্যি করে ইস্তফাই দিয়ে দিলেন তরুণ পতিদার নেতা।
এদিন টুইট করে নিজের ইস্তফা পত্র পোস্ট করেছেন হার্দিক। কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে লেখা চিঠিতে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কারণ বর্ণনা করেছেন হার্দিক। লিখেছেন, "আজ আমি সাহস করে দলীয় পদ এবং প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলাম। আমার বিশ্বাস, আমার সিদ্ধান্তকে আমার প্রত্যেক সঙ্গী এবং গুজরাতের জনতা করবেন। আমি মনে করি আমার এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে গুজরাতের জন্য সত্যিকারে আশাবাদী ভাবে কাজ করতে পারব।"
প্রসঙ্গত, গত মাসে একটি আঞ্চলিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে খোলাখুলি বিজেপির প্রশংসা করেন হার্দিক। নিজেকে গর্বিত হিন্দু বর্ণনা করে বলেছেন, “বিজেপির মধ্যে অসাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেতৃত্ব রয়েছে।” তখনই দল ছাড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল হার্দিকের কথায়।
হার্দিক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “বিজেপির এমন নেতৃত্ব আছে যাঁদের অসাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। আমি কংগ্রেসের উপর হতাশ বলে এমনটা বলছি না। ওরা সংগঠনের জন্য অনেক কাজ করে। নেতৃত্বে একাধিক বদল আনে। যেমন স্মার্টফোন আপডেট হয় সেরকম। বিজেপিও একইভাবে সংগঠনে অনেক বদল আনে। অনেক বছর ধরে এটা করছে। এমনকী লোকজনও বলছে, বিজেপি এই কারণে জিতছে আর কংগ্রেস হারছে।”
আরও পড়ুন ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ নয়, এখন বিজেপির প্রয়োজন কংগ্রেসকে! কেন?
সম্প্রতি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসে নিজের অবস্থান নিয়ে হার্দিক বলেছিলেন, বিয়ের পরই বর নাসবন্দি করালে যেমন হয় তেমনটাই তাঁর অবস্থা। কারণ তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করেছিলেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় তাঁকে শামিল না করার জন্য। তাঁর এই মন্তব্যের পর গুজরাতের আম আদমি পার্টির সভাপতি গোপাল ইতালিয়া প্রকাশ্যে হার্দিককে তাঁদের দলে যোগ দিতে আমন্ত্রণ করেন। কিন্তু হার্দিক সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেস ছাড়বেন না। তবে আজই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন হার্দিক। তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয় কি না এবার সেটাই দেখার।