উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের দলের শীর্ষ নেতার বাড়িতে আয়কর হানা। সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সম্পাদক রাজীব রাইয়ের মৌয়ের বাড়িতে শনিবার হানা দেয় আয়কর আধিকারিকরা। আরও দুই নেতা মনোজ যাদব এবং জৈনেন্দ্র যাদবের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। ভোটের মুখে এই অতর্কিত হানায় ক্ষুব্ধ অখিলেশ। তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
আয়কর হানার জেরে রাজীব এদিন সাংবাদিকদের বলেন, "ওঁরা তল্লাশি চালাতে এসেছিল। আমি বললাম, তল্লাশি নিন। ওঁরা বলল, বেঙ্গালুরুতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এটা যদি রাজনৈতিক কারণ না হয় তাহলে কোনটা! আমি কোনও অপরাধ করিনি। আমার রেকর্ড পরিষ্কার। আমার কিছু লুকানোর নেই। আমার কোনও ভয় নেই। আমার উত্তরপ্রদেশের কোনও ব্যবসা নেই। আমার মোবাইল ফোন খুঁজছিল ওরা। আমি ওঁদের চ্যালেঞ্জ করেছি, অন্য জায়গাতেও হানা দেওয়ার জন্য যেখানে অমিত শাহের লোকজন থাকে।"
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাজীব রাই ঘোসি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু জিততে পারেননি। এদিন তিনি নিজের অনুগামীদের শান্ত করেন এবং অনুরোধ করে কোনও স্লোগান না দিতে বাড়ির সামনে। এই আয়কর হানার প্রেক্ষিতে অখিলেশের দাবি, রাজীব রাইকে নিশানা করা হচ্ছে। কারণ, বিজেপি পরের বছর নির্বাচনে হারের ভয়ে এসব করছে।
অখিলেশ এদিন বলেন, "আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আয়কর আধিকারিকরা কেন এসেছেন। আগামিদিনে ইডি তারপর সিবিআই আসবে, আরও এজেন্সি আসবে।"
আরও পড়ুন ‘৭ বছরে একাধিক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার’, দিল্লিতে দাবি অমিত শাহের
তিনি আরও বলেছেন, "চক্রান্ত হতেই থাকবে। কিন্তু বিজেপি উত্তরপ্রদেশ থেকে সাফ হয়ে যাবে। রাজীব দলের মুখপাত্র। দলের সংগঠনকে মজবুত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। কিন্তু ওঁর বাড়িতে কেন তল্লাশি চালানো হচ্ছে নির্বাচনের আগে! যদি তাঁদের কাছে কোনও তথ্য থাকে তাহলে আগেই তল্লাশি চালাতে পারতেন। যত নির্বাচন এগিয়ে আসে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও ভোটে লড়তে চলে আসে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন