আজ বাসন্তী রঙে রেঙেছে খাটকার কালান। শহিদ ভগৎ সিংয়ের পৈতৃক গ্রামে আজ, বুধবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন ভগবন্ত মান। রাজ্যের ১৮তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ স্থল ভগৎ সিংয়ের গ্রামকেই বেছে নিয়েছেন ভগবন্ত মান। পঞ্জাবের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা একসময় বাসন্তী রঙের পাগড়ি, ওড়না পরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমেছিলেন। সেই রঙের পাগড়ি আর ওড়না পরেই গ্রামের বাসিন্দাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আবেদন জানিয়েছে আম আদমি পার্টি।
মূল অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলও বাসন্তী রঙের কাপড়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। থাকছে ৫০ হাজার চেয়ার। নওয়ানশহর জেলায় ভগৎ সিংয়ের স্মৃতিসৌধের কাছে ৪০ একর জায়গায় এই অনুষ্ঠান প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের মতে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ এদিনের অনুষ্ঠানে আসতে পারেন। চেয়ার ভরে গেলে মাটিতে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আপ জানিয়েছে, ১০ মিনিটের অনুষ্ঠানে ভগবন্ত মানের সঙ্গে সবাই আজ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন।
অনুষ্ঠান স্থল থেকে একটু দূরে গম চাষের জমি পরিষ্কার করে ৫০ একর জায়গায় পার্কিং লট তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার গাড়ি সেখানে রাখা যাবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনও ভিভিআইপি-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই অনুষ্ঠানের থিম রাখা হয়েছে 'রং দে বাসন্তী'। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য গানটি লিখেছিলেন পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, এই গানটি গেয়েছিলেন জেলবন্দিরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপের সর্বভারতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বাকি মন্ত্রিরা এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।
আরও পড়ুন খারাপ ফলের জের, প্রদেশ সভাপতিদের পদত্যাগের নির্দেশ সনিয়ার
এদিনের অনুষ্ঠানের জন্য ভগবন্ত মান একটি ভিডিও বার্তায় সবাইকে বাসন্তী রঙা কাপড় পরে আসতে আবেদন করেছেন। আপ বিধায়ক হরপাল চিমা জানিয়েছেন, "রাজ্যের মানুষই আমাদের কাছে ভিভিআইপি। আমরা তাঁদের কাছে আবেদন করছি, প্রচুর সংখ্যায় অনুষ্ঠানে হাজির হতে। ওঁরাই আমাদের অতিথি। রাজ্যে বাসন্তী পাগড়ি এবং ওড়না পাওয়া যাচ্ছে না। এটাই আমাদের প্রতি মানুষের ভালবাসার নিদর্শন।"